আরবিসি ডেস্ক : বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ৮ম ও ৯ম শ্রেণি, এসএসসি ভোকেশনাল, ইবতেদায়ি (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি), দাখিল (৮ম ও ৯ম শ্রেণি) শ্রেণি এবং দাখিল ভোকেশনাল স্তরে বই দেবে।
এ লক্ষ্যে মোট এক কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৯৭১ কপি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এজন্য ৬টি দরদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৯ কোটি ৩৬ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৪ টাকায় মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য ৬০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক তিন পার্বত্য জেলার জন্য ১শ ওয়াট পিক ক্ষমতা সম্পন্ন ৪০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম ও ৩২০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২ হাজার ৫০০ সোলার কমিউনিটি সিস্টেম ‘বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড’ থেকে ২০৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সেসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিন সিটি আবাসিক কমপ্লেক্সে ১২৫০ বর্গফুটের একটি ২০তলা ভবন এবং আরেকটি ১৬তলা ভবনে ১৯৬টি ইউনিটের পর্দা সরবরাহ এবং স্থাপন কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৪৫ টাকা।
আর বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) কাতার থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১১৭ কোটি ৬৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সৌদি আরব থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১১৭ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ২৫৫ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে আজকের সভায়
এদিকে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল জনশুমারির জন্য তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব ও ৭২টি এসি কিনবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড থেকে কেনার জন্য ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ ১৭ হাজার ৭০ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়নি। দরপত্রে কিছু ত্রুটি খুঁজে পাওয়ার ফলে এটা রিটেন্ডারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ই-জিপিতে ‘ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড’ ৫৪৮ কোটি টাকা এবং ‘ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ ৪০২ কোটি টাকায় টেন্ডার সাবমিট করেছে। ই-জিপির নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরদাতা ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেডকে এই কাজ দিতে চেয়েছিল।
আরবিসি/২৫ আগস্ট/ রোজি