নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সুফল পাচ্ছে কৃষকরা। করোনাকালীন সময়ে সবজি উৎপাদনে কোনো প্রভাব না পড়ে সেই লক্ষ্যে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুকুর পার, বসত বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমিতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পুষ্টি বাগান স্থাপন করেছেন কৃষকরা। শুধু পুষ্টি নয়, প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকের সংসারে অর্থও জোগান দিচ্ছে এ বাগান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরের ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ১৭টি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিজন প্রদর্শনী কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ১০ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি, পাঁচ কেজি এমওপি সার, ২০ কেজি জৈব সার ও আড়াই কেজি বেড়ার নেট, একটি পানির ঝাঁঝরি এবং দুটি বীজ পাত্রসহ ১২ ধরনের সবজি বীজ সরবরাহ করেছে কৃষি বিভাগ।
৩০ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ। এসব বাগানে উৎপাদিত নানা রকমের বিষ মুক্ত সবজি কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারজাত করে বাড়তি অর্থ আয় করছেন। পরিচর্যা ও পরামর্শের বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছে কৃষি কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এক হাজার প্রদর্শনী স্থাপন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে প্রকল্পের সুবিধাভোগী হারুন অর রশিদসহ অনেক কৃষক বলেন, বসতবাড়ির পাশের জমি দীর্ঘদিন পতিত ছিল। কৃষি বিভাগ তাদের পুষ্টি বাগান স্থাপনের নতুন স্বপ্ন দেখায়। মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ক্রমেই পারিবারিক পুষ্টি বাগান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগামীতে উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে পুষ্টি বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা।
আরবিসি/২৫ আগস্ট/ রোজি