রাবি প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় ১৭ মাস ধরে বন্ধ আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো ও পরিবহণ সেবা। এর মধ্যে হলে অবস্থান না করলেও পরিবহণ ও হল ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের গুণতে হচ্ছে বিভিন্ন ফি। তাদের দাবি করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত হলের ভাড়া ও পরিবহণসহ অন্যান্য ফি মওকুফ করা হোক। প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া চলমান।
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ^বিদ্যালয়ের সশরীরী ক্লাস বন্ধ থাকলেও চলছে অনলাইন ক্লাস। এতে কয়েকটি বিভাগের কোর্স শেষ হওয়ায় পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি বিভাগের ফরম পূরণ চলমান। এতে শিক্ষার্থীদের গুণতে হয়েছে হল ও পরিবহণসহ কয়েকটি সেবা ফি।
শিক্ষার্থীরা জানান, করোনায় হল বন্ধ থাকার কারণে আমরা হলে অবস্থান না করায় হলের সিট, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, পানি, পরিবহণ ইত্যাদি সেবা নেই নি। ফলত এই অবস্থায় এসব সেবা না নিলেও ফি দেয়াটা অমানবিক ও অযৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবি, হলের ফি মওকুফ করা হোক এবং যে সকল শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে হলের ফি দিয়েছেন সেটি তাদের ফেরত দেয়া হোক কিংবা সমন্বয় করা হোক।
জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয় প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. আরিফুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। প্রাধ্যক্ষ পরিষদে এ নিয়ে কথা হচ্ছে। হল ফি মওকুফের আমরা শীঘ্রই উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবো।
এই বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম টিপু বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো লিখিত না দিলেও বিষয়টি মানবিক হওয়ায় আমরা ইতোমধ্যে হল ও পরিবহণ বাবদ ফি মওকুফের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি যেহেতু হল প্রাধ্যক্ষদের ব্যাপার। তাই জরুরী ভিত্তিতে প্রাধ্যক্ষ পরিষদকে প্রস্তাবনা দিতে বলেছি যে সর্বোচ্চ কত পরিমাণ মওকুফ করা যায়।
আরবিসি/২৪ আগস্ট/ রোজি