স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার (৩২) গোসলের দৃশ্য গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রের নাম মুরাদ হোসেন (২১)। সে একই উপজেলার বাসিন্দা ও নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র।
সোমবার সকালে মুরাদ হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল আজহার ছুটিতে ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা থেকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি বাগমারার একটি গ্রামে আসেন। আবদুল আলিম নামের এক তরুণ গোপনে ওই নারীর গোসলের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন।
পরে সেটি তিনি তাঁর বন্ধু মুরাদ হোসেনকে দেন। মুরাদ ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে ভিডিওটি পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে টাকা না পেয়ে মুরাদ হোসেন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে রবিবার রাতে থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে দুই তরুণের নামে মামলা করেন। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রাতেই মুরাদ হোসেনকে গ্রেফতার করে।
তবে গ্রেফতার মুরাদ হোসেনের স্বজনদের দাবি, মুরাদের মোবাইল ব্যবহার করে এ কাজ করেছেন তাঁর বন্ধু আবদুল আলিম।
মামলার বাদী বলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী এ ঘটনার পর সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন। তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। উপজেলার ভাগনদি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আরবিসি/২৩ আগস্ট/ রোজি