• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন

রিয়াদের ফিফটিতে ১২৭ রানের সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ

Reporter Name / ১১৯ Time View
Update : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়, দুটি দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলকে টেনে নেওয়ার পাশাপাশি তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ফিফটি।
কিন্তু শেষ ওভারে অভিষেকেই ন্যাথান এলিসের হ্যাটট্রিকে ১৩০-এর দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শুক্রবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। তবে টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ বৃষ্টিভেজা পিচে আগে বোলিং না নিয়ে ব্যাটিং বেছে নেওয়ার ফল ভুগতে হয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামা টাইগাররা আগের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে এসেছে ৩টি পরিবর্তন। ৩ জনেরই এটা অভিষেক টি-টোয়েন্টি। এই ৩ জন হলেন- ভ্যান ম্যাকডারমট, ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান ও ন্যাথান এলিস। তাদের জায়গা দিতে বিশ্রামে রাখা হয়েছে জশ ফিলিপস, মিচেল স্টার্ক ও অ্যান্ড্রু টাইকে।

শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অজি পেসার জশ হ্যাজেলউডের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বল থার্ড ম্যান অঞ্চলে মারতে চেয়েছিলেন নাঈম (১)। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসে জমা হয়।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন অ্যাডাম জাম্পা। অজি লেগ স্পিনারের করা প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সৌম্য। বাঁহাতি ওপেনার অবশ্য রিভিও নিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিও কোনও কাজে লাগেনি। ফলে টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থতার মুখ দেখলেন সৌম্য। মাত্র ২ রান করে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ১১ বল।

টানা দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৩৬ বল স্থায়ী জুটিতে আসে ৪৪ রান। এর মধ্যে ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলার পথে সাকিব বিদায় নেন জাম্পার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই। আগের ওভারেই পর পর দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু জাম্পার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে বোলারের উপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে অ্যাশটন অ্যাগারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা আফিফ হোসেন আগের দুই ম্যাচের ফর্ম এই ম্যাচেও টেনে এনেছিলেন। খেলছিলেনও সাবলীলভাবে। কিন্তু দ্বাদশ ওভারে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে অ্যালেক্স ক্যারির সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নেন তিনি। ১ চার ও ১ ছক্কায় এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৯ রান। এরপর দ্রুত বিদায় নেন শামিম হোসেনও (৩)। হ্যাজেলউডের শর্ট লেন্থের বলে ক্রস ব্যাটে সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

এরপর নুরুল হাসান দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করলেও দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন তিনি। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে ব্যাট ছুঁয়েই সিঙ্গেল নিতে দৌড় দেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের ডাকে অপরপ্রান্ত থেকে কিছুটা দেরিতে দৌড় শুরু করা নুরুল গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই হেনরিকস সরাসরি থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন। ফলে শেষ হয় নুরুলের ৫ বলে ১১ রানের ইনিংস।

এরপর মেহেদিকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ৫২ বলে তুলে নেন ফিফটিও। তবে ঠিক এরপরই এলিসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৫৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। ইনিংসটি ৪টি চারে সাজানো। শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পরের বলেই নেমেই ক্যাচ তুলে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের বলে শরিফুলও বিদায় নিলে হ্যাটট্রিক পেয়ে যান এলিস। অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে তিনি মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এই ফরম্যাটে হ্যাটট্রিক পেলেন। এর আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্রেট লি এবং ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাশটন অ্যাগার এই কীর্তি গড়েছিলেন।

আরবিসি/০৬ আগস্ট/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category