• শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

পাঠাগার আছে, নেই বই- পাঠকশূন্য

Reporter Name / ৩২৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১

ভোলাহাট প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদ চত্বর দক্ষিণ গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই ডান দিকে সম্মুন্নত মৃতি সৌধ। তার পাশেই রয়েছে দৃষ্টি নন্দন ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাকার ভবন। ২০১১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয় ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার ভবনটি।

নির্মাণাধীন পাঠাগার ভবন উদ্বোধন করেন ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মু.জিয়াউর রহমান। পাঠাগার উদ্বোনকালে পাঠকের জন্য চেয়ার-টেবিল, আলমারী থাকলেও উদ্বোধনের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোন বই না থাকায় এ পাঠাগারে কোন পাঠক নেই।

২০১১ সালে উদ্বোধনের সময় ভবনের ভিতর যে সব চেয়ার টেবিল ছিলো সময়ের সাথে সাথে প্রায় নষ্ট হতে বসেছে। ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে পাঠাগারে বই পাঠক না থাকলেও ভবনের এক পাশে উপজেলা ই-সেবা দিচ্ছেন শহিদুল ইসলাম। চত্বরের পাশে ভবনের গায়ে জলজল করে লেখা ভোলাহাট কেন্দ্রীয় পাঠাগার। দীর্ঘদিন ধরে আকর্ষণীয় সুন্দৌর্য্য ভবনটি দাঁড়ীয়ে থাকলেও উপজেলার দায়িত্বশীলদের কারো কোন দিন চোখেই পড়েনি এটি পাঠাগার না অন্য কোন ভবন। সারা দেশে জ্ঞান বিলিয়ে দিতে সরকার যখন ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর ছুটে বেড়াচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

ভবনের ভিতর ই-সেবা দিচ্ছেন শহীদুল ইসলাম তিনি বলেন, ২০১১ সাল ভবন উদ্বোধনের সময় থেকে থেকে পাঠাগার ভবনে উপজেলা ই-সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার হলেও চেয়ার-টেবিল, একটা আলমারী আছে কিন্তু কোন বই দেখতে পায়নি বলে জানান। তিনি আরো বলেন, পাঠাগার ভবনটি উদ্বোধন থেকে এখন পর্যন্ত আমি দেখা-শুনা করি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মিজানুর রহমান জানান, ভোলাহাটে কেন্দ্রীয় পাঠাগার কোথায় আছে তা আমার জানা নাই। উপজেলা কেন্দ্রী পাঠাগার থাকলে তো পাঠাগার কমিটি থাকার কথা। কিন্তু এমন তথ্য আমার কাছে নাই বলে জানান। তিনি আরো বলেন, উপজেলায় আমার মোট ৪৭টি স্কুল রয়েছে। সব স্কুলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার রয়েছে। সেখান থেকে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে পারে। ঠিক তেমনী ভোলাহাট উপজেলা কেন্দ্রী পাঠাগার থাকলে মুক্তিযুদ্ধের বই, বঙ্গবন্ধুর উপর লেখা বই, ইসলামী বই, মহা মনিষিদের লেখা বই, কবিতা-গল্প, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষি, মৎস্য, সফলতা অর্জন বই, গবেষণা, পত্রিকাসহ বিভিন্ন বই রাখলে খুব ভালো হবে। বই পত্রিকা থাকলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পাঠাগারে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। পাঠগার চালু করার জোর দাবী করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার জানান, আমিও পাঠাগারের ব্যাপারে কিছু জানি না। তবে ভবন যেহেতু আছে সেহেতু চালু করার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহল করা দরকার বলেন তিনি।

এ বিষয়ে শেখ মেহেদী ইসলাম (ভূমি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) থাকার সময় বলেন, উপজেলা কেন্দ্রী পাঠাগার ভবন আছে কি না আমিও জানি না। তবে পাঠাগার থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। পাঠাগার চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের সাথে মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা দিয়েও সারা মেলিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন বলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় পাঠাগার আছে কি না তার জানা নেই। তবে ভবন আছে সেটি উপজেলা ই-সেবার উদ্যোক্তা শহীদুলের ভবন বলে জানি বলে জানান। কেন্দ্রী পাঠাকার বলে তিনি জানেন না।

পাঠাগারের কমিটি আছে হয়েছিলো এমন সন্দেহ মূলক কথা বললেও কে বা কারা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য তা জানাতে পারেননি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন।

আরবিসি/০৩ আগস্ট/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category