• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

‘১৫ ও ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়’

Reporter Name / ১১৭ Time View
Update : সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পনেরো ও একুশে আগস্টের হত্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর।

 

রবিবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারী বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের কুশীলব ছিল তাদের অপমৃত্যু হয়েছে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি, ক্ষমা করেও না। এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল, যারা বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩ নবেম্বরের হত্যাকান্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই করা হয়েছিল। পনেরো আগস্ট, তিন নবেম্বর ও একুশে আগস্টের হত্যাকান্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

 

আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলমান করোনা সঙ্কটে অসহায়, দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ালেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটেছিল ১৫ আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জগতে অন্যান্য হত্যাকান্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তাঁর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্য সদস্যগণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে ৩ নবেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। পনেরো আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের অনুরোধে রফতানিমুখী শিল্প-কলকারখানা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত করেছে সরকার।

ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা ৫ আগস্টের পর কাজে যোগ দেবেন। এতে কেউ চাকরিচ্যুত হবেন না। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে রাজধানীমুখী জন স্রোত। এতে করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, একদিনের মধ্যে শ্রমিকদের ফিরে আসার নির্দেশনায় ফেরিঘাটগুলোতে রীতিমতো ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়। এভাবে শ্রমিকদের হঠাৎ করে ঢাকায় ফিরে আসতে পথে পথে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এ দোষটা কার? এর দায় কে বহন করবে? যারা ভোগান্তিতে আছে তারা এক কথায় সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু সরকারের সঙ্গে তো ব্যবসায়ীদের এমন কথা ছিল না।

আরবিসি/০২ আগস্ট/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category