• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রিমান্ড শেষে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত কারাগারে রাজশাহীতে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে রাসিকের মতবিনিময় সভা রাজশাহীতে ‘মার্সেল হা-শো’র অডিশন বুধবার মোহনপুরে মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা নদী সুরক্ষা ও দেশজুড়ে নৌ পথ চালুর দাবিতে ইয়্যাসের স্বারকলিপি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে : ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জাওয়াদুল হক

হতাশ পান চাষীরা

Reporter Name / ১০৪ Time View
Update : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১

বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় করোনার কবলে পানের হাটে কেনা-বেচা একেবারেই কমে গেছে। পানের বাজারে বাইরের পান ব্যাপারী (ক্রেতা) না আসায় ভালো দামে পান বিক্রি করতে না পেরে পানচাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। দ্রব্য মূল্য উর্দ্ধগতির সাথে পানচাষের উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে টিকতে পারছেন না পানচাষিরা।

ফলে দীর্ঘ দিনের বহুল প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী বাগমারার মিষ্টি পানচাষ হুমকির পথে। সরকারী ভাবে পানচাষিদের সহায়তা না কর হলে ধবংশের সম্মুখীন হয়ে পড়বে এমনটি আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞমহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পান চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এলাকার কৃষকরা পান চাষে বেশী আগ্রহী। বিগত বছর বাগমারায় ৯২০ হেক্টর জমিতে পান বরজ ছিল। অন্যান্য আবাদের চেয়ে পান বরজে তুলনামূলক লাভ বেশী হওয়ায় এলাকার কৃষকরা পান চাষে ঝুঁকে এলাকায় বর্তমানে ১ হাজার ৫ শত জমিতে পান বরজ গড়ে তুলেছেন।

রাজশাহীর বাগমারার পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির বিশ্বে রপ্তানী হয়ে থাকে। এ এলাকার পান মিষ্টি ও সুস্বাদ হবার কারণে দেশে-বিদেশে কদর বেশী।

উপজেলার পান কেনা-বেচার রয়েছে কয়েকটি হাট। সেগুলোর মধ্যে মচমইল, তাহেরপুর, মাদারীগঞ্জ, শিকদারী ও মোহনগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। রাজশাহীর অন্যতম হাট তাহেরপুর, মচমইল থেকে প্রতি সপ্তায় ৬০-৭০ ট্রাক পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে বলে জানান পানচাষিরা। বর্তমানে করোনার কারণে কোন বাইরের ব্যবসায়ী নেই। ফলে হাটে বাজারে ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি মোহনগঞ্জ-মাদারীগঞ্জ হাটে ও বাগমারা উপজেলার সর্ববৃহৎ তাহেরপুর ও মচমইল পানের হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে পানের প্রচুর আমদানী। পান ব্যবসায়ীরা ঢিলে-ঢালা পান কেনা-বেচা করছেন না। মহামারীর কারণে পান বাইরে নেয়ার ব্যবস্থা বঞ্চিত পানচাষীরা পানের সঠিক দাম না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।

পান বিক্রয় করতে আসা এ রকম একজন পানচাষী বালানগর গ্রামের সাহেব আলী জানান, পান চাষ করতে যে টাকা ব্যয় হচ্ছে পান বিক্রয় করে তার অর্ধেক মূল্যও পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি জানান, একটি লোক নিয়ে দুই পোয়া পান ভেঙ্গে হাটে বিক্রয় করে দাম পাওয়া যায় মাত্র ৬০০ টাকা, অথচ সেই লোকের বর্তমান মজুরী দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। পানের দাম কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মচমইল হাটে পান ব্যবসায়ী সেলিম জানান, পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রচুর পানের চাহিদা ছিল। এখন করোনার কারণে কোন পান বাইরে যাচ্ছে না। এতে পানের গুরুত্ব¡ কমে গেছে।
হাটে আসা পানচাষীরা জানান, নিত্য পণ্য দ্রব্য মূল্য উর্দ্ধগতি। এছাড়া পান চাষের উপকরণ পান বরজের ব্যবহৃত লগড়, ছুচ, ছায়ন, বাতা, খড়, উলা, ও উয়াশির প্রচুর পরিমান দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় পানের দাম খুবই কম থাকায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আরবিসি/০১ আগস্ট/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category