আরবিসি ডেস্ক : রোগীদের নানা প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষায় হরেক কিসিমের প্রতারণা তো চলছেই। সেইসঙ্গে রাতের অন্ধকারে হাসপাতালের নতুন (করোনা ইউনিট) ও পুরাতন ভবনের ওয়াসরুমের ফিটিংস, সিঁড়ির মূল্যবান স্পাত, স্থাপনার নানা প্রয়োজনীয় রড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। আর রোগীর বিছানা থেকে টাকা মোবাইল অলঙ্কার নানা জিনিস চুরি অনেক পুরাতন বিষয়। ইদানীং আবার হাসপাতালের ডাক্তারদের সই নকল করে অভিনব কায়দায় তুলে নেওয়া হচ্ছে সরকারের দেওয়া মূল্যবান ওষুধ। সরকারের আউট সোর্সিং প্রকল্প থেকে হাসপাতালে কর্মী হিসেবে আসা নতুন পুরাতন কিছু কর্মী ও বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা একটি চক্র মিলেমিশে এ কাণ্ড প্রতিদিনই ঘটাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একদল দালাল চক্র শিকারির মতো ওঁৎ পেতে থাকে রোগী শিকার করতে! নানান কায়দায় অসহায় মানুষদের কাছে থেকে ভাগিয়ে নেন পকেটের টাকা। রাত হলেই এই প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। সুযোগ বোঝে রাতের অন্ধকারে স্থাপনার বাথরুমের ফিটিংস সিঁড়ির স্পাত, রডসহ হাতের কাছে যেখানে যা পাওয়া যায় তাই গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালের ভবনে (করোনা ইউনিট) শুরু হয়েছে এই চুরির হিড়িক। মুক্তা নামে কোরানা রোগীর এক স্বজন বলেছেন, ওয়াশরুম ব্যবহার করে আসার পাঁচ মিনিটি পর আর ওয়াশরুম ব্যবহার করা যায়নি। দেখা গেছে, একটু সময়ের মধ্যেই ফিটিংস চুরি হয়ে গেছে। ইদানীং চক্রের একটি অংশ ডাক্তাদের সই জাল করে তুলে নিচ্ছে ওষুধ।
বুধবার এ রকম একটি ওষুধের শ্লিপ (চিরকুট) দেখে, দায়িত্বে থাকাদের (ফার্মেসি বিভাগ) সন্দেহ হলে ডাক্তারদের দৃষ্টিতে আনা হয়। পরে দেখা যায়, শ্লিপ করা ডাক্তারের সই জাল। প্রতারণার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত আউট সোর্সিংয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এক নারীর কাছে এর যথাযথ ব্যাখ্যা চেয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলার সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুল রউফ জানিয়েছেন, লোকবল সংকটের কারণে হাসপাতাল সবার জন্য উন্মুক্ত অবস্থায় থাকে। প্রতারণা-চুরির ব্যাপারে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। আর ডাক্তারের সই জাল করে ওষুধ তোলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
আরবিসি/৩০ জুলাই/ রোজি