আরবিসি ডেস্ক : দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অন্যথায় এই ঈদযাত্রা দুঃসংবাদের কারণ হতে পারে বলে জানান তিনি।
রোববার (১৮ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। সচিবালয়ে তার দফতর থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ এখন ঘরমুখো, এ ভিড়ে কে কখন ভাইরাস বহন করছে তা জানি না। তাই সচেতনতার সর্বোচ্চ মাত্রা অনুসরণ না করলে এ ঈদ উৎসব যাত্রা জীবনে ভয়ানক দুঃসংবাদ হয়ে আসতে পারে। আসুন এ অবস্থায় প্রত্যেকেই নিজের ও পরিবারের জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বাস, লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট, ট্রেন স্টেশন ও পশুর হাটে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরিধানের মাঝেই রয়েছে করোনা থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র পথ।’
আসন্ন ঈদুল আজহায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অপরাপর কথাসর্বস্ব এবং দায়িত্বহীন কিছু রাজনৈতিক দলের মতো ভোগের রাজনীতি নয়, আওয়ামী লীগ ত্যাগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। করোনা সংক্রমণের উচ্চমাত্রার এ সময় এসেছে ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল ঈদুল আজহা। আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্যাগের সোনালি অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুই আমাদের শিখিয়েছেন জনমানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে। দুর্যোগ ও সংকটে জনমানুষের পাশে থাকাই বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক শিক্ষা।’
করোনার পাশাপাশি কোথাও কোথাও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সচেতনতা এবং চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্য দিয়ে মশাবাহিত এ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে হবে।’
মন্ত্রী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশের অন্যান্য কর্পোরেশন এবং পৌরসভার মেয়রদের মশক নিধনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কোরবানির পশু পরিবহনে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ব্যবহার না করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
তিনি পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ মহাসড়ক ব্যবহারকারী সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যে সকল পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ শর্ত অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে নিজ উদ্যোগে শর্ত মেনে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি মনিটর করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আরও বক্তব্য করেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
এর আগে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ফেইম ভিট চেইন।
আরবিসি/১৮ জুলাই/ রোজি