আরবিসি ডেস্ক : সারাদেশের সকল শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা আল-নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোর আবাসিক-অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
একইসঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক ও অনাবাসিক উভয় শিক্ষার্থীদের তালিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করে কোভিড-১৯ টিকার নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধও জানিয়েছেন তারা।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর সরকারি সিদ্ধান্তে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মহামারি কাটিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়াশোনা কার্যক্রমে নিয়ে আসার জন্য দ্রুত টিকা আনার ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে টিকা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাই। কেননা শিক্ষার্থীরা দ্রুত টিকা না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা কঠিন হবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ছাত্রসমাজের পক্ষে সারাদেশের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ এখনো বিদ্যমান থাকায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মোকাবিলায় আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রেখেছেন। এ ছাড়া দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১০ হাজার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিতকরণে জরুরি ভিত্তিতে টিকার ব্যবস্থা করছেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরাসরি একাডেমিক কার্যক্রম না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য জরুরি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করতে টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। টিকা যত দ্রুত পাওয়া যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তত দ্রুত খোলা যাবে এবং শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে। আমরা চাই, টিকা দ্রুত নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক লেখাপড়া আবারও শুরু হোক।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, সারা দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে করোনা প্রতিরোধে ও জনসাধারণকে সচেতন করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেকোনো সংকটে, যেকোনো দুর্যোগে, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে, ছাত্রসমাজের ন্যায্য দাবি আদায়ে জোরালো ভূমিকা রেখেছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে ছাত্রসমাজের পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদেরকেও নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে টিকার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছে এবং সবাই যাতে ভ্যাকসিনের আওতায় আসে সেজন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদেরকেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরবিসি/১৮ জুলাই/ রোজি