• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রিমান্ড শেষে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত কারাগারে রাজশাহীতে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে রাসিকের মতবিনিময় সভা রাজশাহীতে ‘মার্সেল হা-শো’র অডিশন বুধবার মোহনপুরে মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা নদী সুরক্ষা ও দেশজুড়ে নৌ পথ চালুর দাবিতে ইয়্যাসের স্বারকলিপি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে : ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জাওয়াদুল হক

চামড়া সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কায় রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : একদিন করোনার প্রভাব, অন্যদিকে এবারও আর্থিক সংকটে আছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। তার উপরে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দৌরত্ব। সবমিলিয়ে রাজশাহীতে কোরবানির চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চিন্তায় আছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহীতে এবারও অর্থ সংকটে চামড়া ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব পড়তে পারে কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা তাদের পাওনা পরিশোধ না করায় সংকট কাটছে না। বিভিন্ন ট্রেনারির কাছে রাজশাহী জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়া পড়ে আছে ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা।

বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও বকেয়া পরিশোধ করছেন না ঢাকার ট্যানারি মালিকরা। বিভিন্ন ঈদ মৌসুমে চামড়া কেনার পর নানান অজুহাতে দিনের পর দিন পাওনা টাকা দিতে তারা ঘোরাচ্ছেন চামড়া ব্যবসায়ীদের। কিছু টাকা উঠে আসলেও তা কোরবানি মৌসুমে ব্যবসা করার জন্য যথেষ্ট নয়।

সার্বিক পরিস্থিতিতে চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বিগত বেশ কয়েক বছরের টাকা বকেয়া পড়ে আছে। তাদের কাছে পুঁজি যা কিছু অবশিষ্ট ছিল, তাও এই করোনাকালে ঘরে বসে খেয়ে শেষ। এবারও পরিস্থিতি খুবই খারাপ। স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক সংকটে ভুগছেন। আগামী রবিবার বকেয়া কিছু টাকা উঠে আসার কথা রয়েছে। যদি সেই অর্থ উঠে আসে তাহলে কিছুটা হালে পানি পাবে ব্যবসায়ীরা।

জেলায় প্রতি কোরবানির মৌসুমে ৭০ থেকে ৮০ হাজার পশু কোরবানি করা হয় জানিয়ে রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ জানান, করোনার কারণে রাজশাহীতে এবারও কোরবানি কম হবে। রাজশাহীতে এবারে আনুমানিক ২০ হাজার গরু ও ৫০ হাজার ছাগল-ভেড়া কোরবানি হতে পারে। সবমিলিয়ে ৫০ হাজার মতো চামড়া সংগ্রহ হবে।

তিনি আরো জানান, চামড়া ব্যবসায়ীদের আরো একটি সমস্যার নাম হচ্ছে মৌসুমী ব্যবসায়ী। এরা প্রতিবছর বাজার নষ্ট করে। লাভ বা লসের হিসেবে না বুঝেই চামড়া নিয়ে ফেলে আসল ব্যবসায়ীদের বিপদে ফেলে দেন।

আবদুর রউফ জানান, রাজশাহীতে এবারও গতবারের মতোই থাকবে চামড়ার দাম। একটি বড় ছাগলের চামড়ার (৫-৬ ফুট) দাম হবে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বড় সাইজের গরুর চামড়ার (২৫-৩০ ফুট) দাম হবে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

বিক্রেতারা এ দাম পেতে পারে যদি চামড়া নিঁখুত থাকে। চামড়া কোনভাবে কেটে গেলে দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। চামড়া কিনলেই হবে না। কেনার পরে একটি চামড়ায় লবন মাখাতে ব্যয় হয় আরো ৩০০ টাকা।

আরবিসি/১৭ জুলাই/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category