আরবিসি ডেস্ক : বাংলাদেশ দল অনেক বেশি সিনিয়রনির্ভর, জুনিয়র ক্রিকেটাররা চাপের মুখে খেলতে পারেন না, তারা দলের জন্য সেভাবে অবদানও রাখতে পারছেন না- এসব দুশ্চিন্তা অনেক দিনের।
তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডের পর আর সেই দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। ওই ম্যাচে দলের বিপদে জুনিয়ররাই বরং হাল ধরেছে। টাইগার ক্যাপ্টেন তাই ভীষণ খুশি।
হারারেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় বড় বিপদে ছিল বাংলাদেশ। দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও ব্যাটিং ভরসা তামিম আর সাকিব আল হাসান দলীয় ৩২ রানের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন।
একটা পর্যায়ে ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস, যে জুটিতে সিনিয়র পার্টনারের অবদান ছিল ৩৩।
লিটন দেখেশুনে খেলে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন। পরে আরেক তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব খেলেছেন ৩৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। মেহেদি হাসান মিরাজও করেন ২৫ বলে ২৬।
অর্থাৎ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে বাঁচানোর মূল দায়িত্বটা পালন করেছেন তরুণরাই। তামিম এটাকে ভীষণ ইতিবাচক দিক মনে করছেন ওই ম্যাচের।
টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘একটা পর্যায়ে খুব বিপদে ছিলাম। একটা কথা সবসময় বলি, জুনিয়রদের পারফর্ম করতে হবে। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আমরাও বলেছি। কাল এক্ষেত্রে আদর্শ ম্যাচ ছিল। যেখানে লিটন বেশ দায়িত্ব নিয়ে একটা ইনিংস খেলেছে।’
তামিম যোগ করেন, ‘আর সবসময় ১০০ বা ৫০ নিয়ে কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু আমার কাছে ছোট ছোট অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। আফিফের ইনিংসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ওই ইনিংসটা না খেললে ২৭০ রান করতে পারতাম না। ৩০-৪০ রান কম হতো। মিরাজের ২২-২৩ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিয়াদ ভাই আউট হওয়ার পর আরেকটি উইকেট পড়ে গেলে বিপদ হতো। আমার কাছে মনে হয় এই ছোট ছোট অবদানের কৃতিত্ব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমি পছন্দ করি।’
প্রথম ম্যাচে ১৫৫ রানে বড় জয়। জিম্বাবুয়ে পাত্তাই পায়নি। তারপরও উন্নতির জায়গা দেখছেন তামিম। ওই ম্যাচের শুরুর বিপদটা যেন আবার পুণরাবৃত্তি না হয়, সেই চিন্তা তার।
তামিমের ভাষায়, ‘উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়া আদর্শ না। টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু ভালো খেলি, তাহলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না। চেষ্টা করব যে পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে। এছাড়া আমাদের বোলিং নিয়ে আমি খুবই খুশি।’
আরবিসি/১৭ জুলাই/ রোজি