আরবিসি ডেস্ক : করোনার বিধ্বংসী দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে থাকা ভারতে এ রোগে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত দু’দিন ধরে দেশটিতে এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৮০৬ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫৮১ জনের।
তার আগের দিন মঙ্গলবার ভারতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ২৯২ জন এবং এ রোগে ওই দিন দেশটিতে মারা গিয়েছিলেন ৬২৪ জন।
তারও আগের দিন, সোমবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩১ হাজার ৪৩৩ জন, যা গত তিনমাসে দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে সর্বনিম্ন; কিন্তু সেদিন দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২০২০ জনের।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ১৪ জন, যা শতকরা হিসেবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
বুধবার দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে। রাজ্যটিতে এ দিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩৭ জন। এই তালিকায় কর্ণাটকের পরেই আছে মহারাষ্ট্র। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে বুধবার নতুন আক্রান্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৬০২ জন।
দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৪১ জন, শতকরা হিসেবে যা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এছাড়া, বুধবার ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৯ হাজার ১৩০ জন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার শতকরা হার ৯৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তার পর থেকে পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪০ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪ লাখ ১২ হাজার ১৯ জন।
২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ৩৯ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৯১ ডোজ করোনা টিকা ব্যবহার করা হয়েছে।
আরবিসি/১৫ জুলাই/ রোজি