স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর আগের দিন রোববার ১৯ জন ও শনিবার মারা যায় ১৪ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন। বাকিদের মধ্যে উপসর্গে চারজন এবং করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর চারজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে নয়জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী।
এদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নওগাঁর দুইজন, নাটোরের চারজন ও পাবনা জেলার একজনের বাড়ি।
গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৬৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ জন। সোমবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৫৪টি বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ৫১৮ জন। এদের মধ্যে ২২৯ জনের করোনা পজেটিভ রয়েছে। আর সন্দেহভাজন ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২৩৬ জন। নেগেটিভ হওয়ার পর করোনার পরবর্তি জটিলাতার কারণে চিকিৎসাধীন ৫২ জন। আর করোনার আইসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন।
এদিকে, রাজশাহীতে ফের বেড়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। রোববার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর আগের দিন শনিবার ছিল ২৫ দশমিক ০৫ শতাংশ।
এর আগে গত শুক্রবার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ, গত বৃহস্পতিবার ছিল ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, গত বুধবার ছিল ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, গত মঙ্গলবার ছিল ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, সোমবার ২৯ দশমিক ০৩ শতাংশ, গত রোববার ছিল ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ আর শনিবার ছিল ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
শামীম ইয়াজদানী জানান, এ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পৃথক দুইটি ল্যাবে তিন জেলার ৬৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ এসেছে ১৮৬ জনের। রাজশাহী জেলা ছাড়াও চাঁপাইনবাগঞ্জের ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সবার নেগেটিভ এসেছে। এছাড়াও নওগাঁর ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।
গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে সেটি দুই দফা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এর পর ১ জুলাই থেকে নতুন করে সরকারি ঘোষিত দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন শুরু হয়।
আরবিসি/১২ জুলাই/ রোজি