• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন

নিলামে উঠছে ১২ প্লেন, দাম না পেলে কেজিদরে বিক্রি!

Reporter Name / ৯৫ Time View
Update : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হযরত শাহজালালের বড় অংশ দখল করে রাখা ১২টি প্লেন নিয়ে অভিনব সংকটে পড়ে গেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। পার্কিং চার্জ না দিয়েই এই বিমানগুলো দীর্ঘদিন পড়ে আছে কার্গোতে। বছরের পর বছর এভাবে পড়ে থাকা ওই ১২টি প্লেন নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক। তবে নিলামে কাঙ্খিত দাম না পেলে বিমানগুলো কেটে কেজি দরে বিক্রি করা হবে।

সোমবার (১২ জুলাই) বেবিচক সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নিলামের কর্মপদ্ধতি এবং সুপারিশমালাও দিয়েছে। এখন কেবল নিলাম আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পালা।

বেবিচক জানায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে মোট ১২টি এয়ারক্রাফট পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যে ১০টিই গত ৮ বছর ধরে কার্গো ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে। এসব পরিত্যক্ত প্লেনের কারণে কার্গোর মাল ওঠা-নামায় সমস্যা হয়। তাই জায়গা খালি করতে দীর্ঘদিন ধরে উপায় খুঁজছিল বেবিচক। সবশেষ এ বিষয়ে গঠিত ৪ সদস্যের কমিটি প্লেনগুলো নিলাম করার সুপারিশ করেছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানায়, বর্তমানে বিমানবন্দরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও অ্যাভিয়েনা এয়ারলাইন্সের একটি করে প্লেন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এদের মধ্যে রিজেন্ট বাদে সবগুলোই ৮ বছর ধরে একই অবস্থায় স্থান দখল করে আছে।

বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এই প্লেনগুলোর পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ ৭৫০ কোটি টাকার মতো বকেয়া। তারা এই টাকা দিচ্ছে না। বরং দীর্ঘদিন ধরে কার্গোর জায়গা দখল করে বেবিচকের রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য পথ বন্ধ করে রেখেছে। এক অ্যাসেসমেন্টে বেবিচক দেখেছে, এই জায়গাগুলোতে মোট ৪টি সচল কার্গো অবস্থান করতে পারবে, যাতে আয় বাড়বে তাদের। তাই প্লেনগুলো নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান বলেন, এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্লেনগুলো সেখান থেকে সরিয়ে না নেয় এবং টাকাও পরিশোধ না করে সেক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের রুল অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করার ক্ষমতা রাখেন। এয়ারলাইন্সগুলোকে বেশ কয়েকবার প্লেন রাখার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে অথবা প্লেন সরিয়ে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘প্লেনগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে’ বলে সতর্কও করা হয়েছে। তারা কোনো সাড়া দেয়নি। বর্তমানে প্লেনগুলোর ডি-রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেবিচকের কমিটি যে কর্মপদ্ধতি সুপারিশ করেছে, সেই অনুযায়ী নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তারা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ থেকে ১৯০ কোটি, জিএমজি এয়ারলাইন্স থেকে ৩৬০ কোটি এবং রিজেন্ট থেকে ২০০ কোটি টাকা পাবে। এই টাকা আদায়ের জন্যে তারা প্লেনগুলো নিলামে তুলতে চায়।

বেবিচক জানায়, কেউ যদি নিলামে প্লেনগুলো কিনতে আগ্রহী না হয় তাহলে ভাঙারি হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হবে। শিগগিরই বিক্রির কর্মপদ্ধতির বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেবে তারা।

আরবিসি/১২ জুলাই/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category