রাবি প্রতিনিধি: আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) থেকে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব পরিবহনে বাড়িতে পৌঁছে দিবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মকছিদুল হক তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রথমদিন নওগাঁ, বগুড়া, নাটোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়েছে। ১৩ তারিখে যদি গাড়িগুলো স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে তাহলে ১৪ জুলাই গাইবান্ধা এবং রংপুরের উদ্দেশ্যে এবং ১৫ জুলাই দিনাজপুর এবং সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে গাড়ি যাবে। এরপরে ১৬ জুলাই ঢাকা ও ময়মনসিংহে এবং ১৭ জুলাই কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও বরিশালে গাড়ি যাবে। তারপর ১৮ জুলাই খুলনায় গাড়ি পাঠানো হবে। সবশেষে সিলেট, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে গাড়ি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সিলেটের গাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া পর্যন্ত যাবে।
পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল সাতটায় বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। মূল আইডি কার্ড প্রদর্শন করা ব্যতিত কোনও শিক্ষার্থীকে বাসে তোলা হবে না। বাসে উঠার আগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে এবং একটি এটেনডেন্স শীট থাকবে সেখানে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করতে হবে। একইভাবে বাস থেকে নামার সময়, শিক্ষার্থীরা যে স্থানে নামবে সে স্থানের নাম উল্লেখপূর্বক আরেকটি স্বাক্ষর করতে হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্রীদের নামার স্থানে এসে তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অবিভাবকদের সহায়তা কামনা করছি।’
প্রশাসক আরও বলেন, ‘যেসকল রুটে পূর্বে গাড়ি দেওয়া হবে পরবর্তীতে সেসকল রুট দিয়ে যাতায়াত করলেও নির্ধারিত স্টোপেজ ছাড়া পূর্বের কোনও স্টপজে গাড়ি থামবে না। প্রত্যেক গাড়িতে নির্ধারিত স্টোপেজের নাম দেওয়া থাকবে। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০টি বাস চলবে এবং প্রত্যেক বাসে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন।
এর আগে চলতি মাসের গত ৩ জুন এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিভিন্ন বর্ষের ২০১৯ সালের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো ২০ জুন এবং ২০২০ সালের পরীক্ষাগুলো ৪ জুলাই থেকে শুরু করতে প্রতিটি বিভাগকে নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিতে তারিখ ঘোষণা করে বেশ কয়েকটি বিভাগের একাডেমিক কমিটি। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার ফলে অনেক শিক্ষার্থী রাজশাহীতে চলে আসে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে চলমান লকডাউন দিনে দিনে বৃদ্ধির ফলে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো পরীক্ষা স্থগিত করে। এতে বাসায় ফেরা নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
আরবিসি/১১ জুলাই/ রোজি