আরবিসি ডেস্ক : বাণিজ্যিকভাবে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে করা চুক্তি অনুয়ায়ী আগামী তিন মাসে বাংলাদেশ টিকা পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (১০ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য আমরা চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছি, আমরা সেই টিকাগুলো পাব। আমরা টিকার সরবরাহটা নিশ্চিত করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ টিকা এনেছি। যুক্তরাষ্ট্র ২৫ লাখ দিয়েছে, চীন থেকে পয়সা দিয়ে ২০ লাখ কিনেছি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, চীনের সিনোফার্ম থেকে বাণিজ্যিকভাবে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনছে সরকার। যার মধ্যে ২০ লাখ ডোজ টিকা ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে। বাকি টিকা দেশে আনার বিষয়ে সিনোফার্মের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে বাকি টিকা বুঝে পাবে বাংলাদেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের আওতায় ১০ লাখ টিকা পাবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা ইইউ থেকে ১০ লাখ টিকা পাব। সেটা কোভ্যাক্সের আওতায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাব। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তারা এটা এলে নিতে পারবেন।’
জাপান ২৫ লাখের বেশি টিকা দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপ হয়েছে। তিনিও আমাকে টিকা দেবেন বলেছেন। কতগুলো দেবেন সঠিক সংখ্যাটা বলেননি। আমি আশা করি, ২৫ লাখের নিচে না, আরও বেশিও হতে পারে। এগুলো কোভ্যাক্সের আওতায় হবে। এগুলোর জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না।’
অস্ট্রেলিয়া থেকেও টিকা আনার বিষয়ে সরকার আলাপ করছে বলেও ভিডিও বার্তায় জানান ড. মোমেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া থেকে টিকা আনার বিষয়ে সরকার চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, টিকার যৌথ উৎপাদনে চায়না ও রাশিয়ার সঙ্গে আলাপ করছে সরকার। আলোচনা বেশ অগ্রসর হয়েছে।
দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের ৮০ ভাগ মানুষের টিকা নিশ্চিত করা হবে। সবাইকে টিকা তো দেবেন, তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সবাই মাস্ক পরবেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবেন, এগুলো না করলে কিন্তু টিকাতে কাজ হবে না।’
সিলেট এলাকার লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানেন না বলে অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিলেট এলাকার লোকেরা স্বাস্থ্যবিধি মানেন না, আমি শুনেছি সিলেটে আক্রান্তের হার ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, এটা দুঃখজনক। আমি সিলেটবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। না হলে অনেক বিপদ হবে।’
আরবিসি/১১ জুলাই/ রোজি