স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত মেয়র মুক্তার আলীকে রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করে অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর শুনানি শেষে বিচারক সাইফুল ইসলাম চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।
আর আগে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মেয়র মুক্তার আলীকে পাবনার ইশ্বরদীর পাকশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করে ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল এএসপি (ডিএসবি) রুবেল আহমেদ এবং ডিবি ইন্সপেক্টর আতিকের নেতৃত্বে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পাকশীতে অভিযান চালিয়ে তার এক আত্মীয় বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রজন নামের তার এক সহযোগিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইফতেখায়ের আলম বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় বাঘা উপজেলার আড়ানীতে মেয়রের নিজ বাড়িতে। এ সময় বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে তার দেখানো মতে চার বোতল ফেন্সিডিল, একশত গ্রাম গাঁজা, নগদ এক লাখ ৩২ হাজার টাকা নগদ এবং দেশীয় ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এএসপি জানান, রজন মেয়র মুক্তার শ্যালক। সে মেয়রের সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।
গত ৭ জুলাই তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৩ রাউন্ড গুলিসহ মাদকদ্রব্য এবং প্রায় এক কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল রাজশাহী জেলা পুলিশ। সে সময় মেয়রের স্ত্রী ও দুই ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন থেকেই সে পলাতক ছিল।
মুক্তার আলী আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি দলীয় মনোনয়নেই মেয়র হয়েছিলেন। সে সময় তিনি যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। যুবলীগ নেতা হওয়ার পর থেকেই তিনি ছিলেন বেপরয়ো।
আরবিসি/০৯ জুলাই/ রোজি