আরবিসি ডেস্ক : গরম বাতাসের উপস্থিতি বাড়ায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আগামী দুই দিনে এটি লঘুচাপে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) রাতে এ আভাস দিয়েছে। শনিবার নাগাদ লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় শুক্রবার রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিমি।
আগামী দুই দিনে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হবে।
এদিকে রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি এবং সেইসাথে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার দেশে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক অনেক কম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে, ২৯ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে, ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৬ মিলিমিটার ও ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৭ শতাংশ।
আরবিসি/০৮ জুলাই/ রোজি