রাবি প্রতিনিধি : করোনভাইরাস উদ্ভ’ত পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপি বেশ কয়েকটি কর্মসূচী পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিন শুরুতে সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনভবন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মুস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা এবং প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়কের প্রতিনিধি হিসেবে নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন নিজ হলের পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বর্ণিল বেলুন-ফেস্টুন ওড়ানো হয়। এসময় সেখানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী উপস্থিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপাচার্য আইবিএ চত্বরের আমবাগানে একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন।
এরপর বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা। আলোচনা সভাটি বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী এম জাকারিয়া সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা বলেন, ‘আজকের এই দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়। এই ৬৮ বছরে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ আমরা একটি জায়গায় দাড়িয়েছি, যেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা এবং গৌরব দেশে-বিদেশে স্বীকৃত। তবে সবটাই গৌরবের, সবটাই আমাদের কাছে আনন্দের একথা আমি বলব না। চড়াই-উৎরাই যখন, তখন তার মানে হলো সেখানে বিভিন্নভাবে দ্বন্দ্ব এবং দ্বন্দ্ব নিরসন এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। কারণ জীবন এককভাবে শুধু সুখের নয়, এককভাবে শুধুই অর্জনের নয়। অর্জন এবং বিসর্জন সব মিলে আমাদের জীবন এবং তার একটা বৃহত্তর পরিসর হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়। তার ভিতর একটা ঐতিহ্য আমাদের গড়ে উঠেছে, যে ঐতিহ্য নিয়ে আমরা নিশ্চই একটি প্রশান্তি এবং প্রত্যয় পেয়ে থাকি।’
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা না বাড়িয়ে যারা আছে তাদের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। এসময় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠবে এবং নিজেদের জায়গায় নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরবিসি/০৬ জুলাই/ রোজি