• শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন

ফিলিপাইনে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ২৯

Reporter Name / ৮৫ Time View
Update : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : ফিলিপাইনে বিমানবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার ওই দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের মৃত্যু কথা জানানো হয়েছিল। তবে কিছু মানুষকে উদ্ধার করা গেলেও প্রাণহানি বেড়েছে।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সুলু প্রদেশের পাতিকুল এলাকায় রোববার দুপুরে সামরিক বাহিনীর ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়া লকহিড কোম্পানির তৈরি সি-১৩০ বিমানটিতে দেশটির সামরিক বাহিনীর ৯২ জন আরোহী ছিলেন।

 

ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল কিরিলিতো সোবেজানা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর সেখান থেকে ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিধ্বস্ত বিমানটি সৈন্যদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ছিল বলেও জানান তিনি।

দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধার অর্ধশত আরোহী গুরুতর আহত। এছাড়া আরও ১৭ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আহত অবস্থায় উদ্ধার সেনা সদস্যদেরকে পাশের একটি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীর জন্য আকাশে এটি সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। বিমানবাহিনী কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের কথা জানিয়েছে।

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনাস্থলের ছবিতে গাছের মধ্যে পড়ে থাকা বিমানটির ভগ্নাবশেষ দেখা গেছে। দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলের আকাশ আগুন ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে আছে। তার আশেপাশে রয়েঠে বেশি কিছু ভবন।

সুলুর সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট টাস্কফোর্স বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি মাটিতে আঘাত করার আগে বেশ কিছু সৈন্য বিমান থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।’ এখনো জীবিত সেনা উদ্ধার হওয়ার আশার কথাও জানানো হয়েছে।

ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলো অনুযায়ী বিমানটিতে তিন পাইলট ও পাঁচ ক্রুসহ মোট ৯২ জন আরোহী ছিলেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ন জন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিমানটিতে থাকা বেশিরভাগ সেনা সম্প্রতি তাদের সামরিক বাহিনীর মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছিলেন। তাদেরকে কাগায়ান ডি ওরো থেকে দক্ষিণের দ্বীপ মিন্দানাওয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে জোলো শহরের পাশে তাদের বহনকারী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ১৯৮৮ সালে মার্কিন বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র গত জানুয়ারিতে ফিলিপাইনকে যে দুটি ব্যবহৃত হারকিউলেস ফিলিপাইনকে দিয়েছিল তার মধ্যে এটি একটি।

আরবিসি/০৪ জুলাই/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category