নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা রোগির চাপ কমাতে জেলার সকল উপজেলা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ সভা শেষে এ সিন্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক। অপরদিকে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেছেন, কারণ ছাড়া যে কেও মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হলে সাথে সাথেই দেয়া হবে মামলা।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, তিনটি উপজেলা বাদে বাকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে করোনা রোগিদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল। এখন সকল উপজেলা হাসপাতালে যাতে স্থানীয় রোগিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে সদর হাসপাতালে রোগিদের চাপ কমে আসবে।
শুক্রবার বিকেলের জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শনিবার ৭০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৮২ জন রোগি। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নাটোরে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ এ। আগে থেকে জেলার তিনটি উপজেলা হাসপাতালে করোনা চিকিতসার ব্যবস্থা থাকলেও সকল রোগি ভালো সুযোগ সুবিধার আশায় আসতো জেলা সদরের হাসপাতালে। লকডাউনের তৃতীয় দিনে বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা। বেশির ভাগ মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন। তবে লকডাউন সফল করতে শহরের মোড়ে মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়েছে জেলা পুলিশ।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেৃতত্বে শহরের কানাইখালি এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়। এসময় প্রয়োজন ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে বাহিরে বের হওয়ার কারণে অর্ধশত মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রয়োজন ছাড়া কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে বাহিরে বের হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এতে কোন ছাড় হবে না।
আরবিসি/০৩ জুলাই/ রোজি