• রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

শনাক্তের হার ছাড়িয়ে গেল ২৮ শতাংশ

Reporter Name / ১২৩ Time View
Update : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : দেশে প্রতিদিনই চলছে করোনার রেকর্ড ভাঙা-গড়া। প্রায় প্রতিদিনই শনাক্ত আর মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে, ভাঙছে পুরনো রেকর্ড। তবে কোনো কোনো দিন আগের দিনের চাইতে মৃত্যু কিছুটা কমলেও শনাক্তের হার প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ২৮.২৭ শতাংশ।

এর আগে গত বছরের ৩ আগষ্ট শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া পরিসংখ্যন অনুযায়ী তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ২৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় এক হাজার ৩৫৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৩ জনের। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সারা দেশে গতকাল মারা যান ১৪৩ জন। এছাড়া ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় আট হাজার ৩০১ জনের। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

আজ (শুক্রবার) স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৩২ জন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৩০, চট্টগ্রামে ২৪, রাজশাহীতে ২৪, বরিশালে ২, সিলেটে ২, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮১ জন পুরুষ এবং ৫১ জন নারী। এদের মধ্যে ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৪ হাজার ৭৭৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং নারী ৪ হাজার ২৮২ জন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর গত বছরের জুন-জুলাই মাসে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও আগস্ট মাসের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। চলতি বছরের মার্চে এসে আবার পরিস্থিতির অবনতি শুরু হয়।

এপ্রিলে এসে পরিস্থিতি খারাপ হলে সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। এর মাঝেই দেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত) শনাক্ত হয়।

চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যু শতক ছাড়ায়। সে সময় দৈনিক শনাক্তও ছাড়িয়ে যায় সাত হাজার।

মে মাসের শেষ দিকে পরিস্থিতির আবারও উন্নতি হতে থাকে। এরপর কিছু শর্ত দিয়ে লকডাউন শিথিল করে দেয়া হয়। তবে জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। ১৪ জুন প্রায় ৫ সপ্তাহ পর করোনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি প্রতিদিনই ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই হচ্ছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড।

আরবিসি/০২ জুলাই/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category