আরবিসি ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরির চুক্তিতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য নথি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) বরাবর চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পক্ষে গত ২৩ জুন দুদক প্রধান কার্যলয়ের উপপরিচালক (বিশেষ তদন্ত-২) মোহাম্মদ ফয়সালের স্বাক্ষরে চিঠিটি পাঠানো হয় বলে জানান দুদকের একাধিক কর্মকর্তা।
দুদকের পাঠানো চিঠিতে জানা যায়, বাংলাদেশ বেতার কর্তৃক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ইনোভেশন কার্যক্রমের আওতায় স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত অফিস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের সঙ্গে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকায় ‘অটোমেশন সফটওয়্যার’ তৈরির চুক্তি হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপপরিচালক (বিশেষ তদন্ত-২) মোহাম্মদ ফয়সালকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ‘অটোমেশন সফটওয়্যার’ সরবরাহ ও সংস্থাপনের বিপরীতে সুনির্দিষ্ট কিছু নথি পর্যালোচনার জন্য এগুলোর সত্যায়িত ছায়ালিপি ৩০ জুনের মধ্যে সরবরাহ করতে চিঠিতে বলা হয়।
চিঠিতে নথিপত্রের বিষয়বস্তু হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কোনো অনুষদের কোনো বিভাগ কিংবা ইনস্টিটিউটের সামগ্রী ও সেবা সরবরাহ ও সংস্থাপনের বিপরীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার নীতিমালাও কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়।
দুদক প্রধান কার্যলয়ের উপপরিচাক মোহাম্মদ ফয়সাল এই বিষয়ে বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। ভিসির চিঠির কোনো উত্তর আমরা পাইনি। পরে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও চিঠি পাঠাব।’
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।
আরবিসি/০১ জুলাই/ রোজি