স্টাফ রিপোর্টার : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তৈরি হয়েছে শয্যা সংকট। চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে ভিড় বেড়েছে সক্ষমতার চেয়ে অনেকাংশে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী মেডিক্যালের চিকিৎসা সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বেচ্ছাসেবী দল শহীদ জামিল ব্রিগেডের সদস্যরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। সেখান থেকেই মেডিক্যালের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো, রামেক হাসপাতালে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা জরুরি ভিত্তিতে দ্বিগুণ করা। অক্সিজেন সরবরাহ পর্যাপ্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। করোনা রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত বেড বাড়ানো। রাজশাহী সদর হাসপাতালকে অতি জরুরি ভিত্তিতে চালু করা। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য টেকনিশিয়ান বাড়ানো এবং রাজশাহীবাসীর জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি দ্রুত চালু করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জামিল ব্রিগেডের সমন্বয়ক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন; তাদের দেহে অধিকাংশই ভারতীয় ধরন। এ ধরন শনাক্তের পর তাদের অক্সিজেন লেভেল দ্রুত কমে যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য তারা শরণাপন্ন হচ্ছেন রাজশাহী মেডিক্যালে। তাদের জরুরিভাবে আইসিইউ; এমনকি সাধারণ শয্যার প্রয়োজন হলেও তারা সেখানে যেতে পারছে না। অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
রোগীরা আইসিইউর জন্য আকুতি করছে। অনেকে আইসিইউ না পেয়ে জীবনও হারাচ্ছে।’
দেবু বলেন, ‘রাজশাহীবাসীর এমন দুঃসময়ে মেডিক্যালের এ ধরনের অপ্রতুল সক্ষমতা আমরা দেখতে চাই না। মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এর জন্য যা যা পদক্ষেপ প্রয়োজন; সবটাই রাষ্ট্রকে নিতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল রামেক হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। তারা বলেণ, ছয় দফা দাবি মানুষকে বাঁচানোর দাবি। দাবিগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিলে ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারলে রাজশাহী করোনামুক্ত হবে বলে আমরা আশাবাদ প্রকাশ করেন তারা।
মানববন্ধনে শহীদ জামিল ব্রিগেডের মনিটরিং সেলের সদস্য মনিরুদ্দীন পান্না, নাজমুল করিম অপু, মনিরুজ্জামান মনির, ব্রিগেডের সদস্য আব্দুল খালেক বকুল, শামীম ইমতিয়াজ, আলমগীর হোসেন, ওহিদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম রেজা, বীমান চক্রবর্তীসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি/৩০ জুন/ রোজি