• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন

মগবাজারে বিস্ফোরণ যে কারণে

Reporter Name / ৮৯ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : রাজধানীর মগবাজারের আউটার সার্কুলার রোডের একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানাতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ধরনের গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হতে পারে। এটা কোনো সাধারণ বিস্ফোরণ নয়। শুধু গ্যাস লিকেজ থেকে এতো বড় বিস্ফোরণ অস্বাভাবিক।’

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মগবাজারে ৭৯ নম্বর ভবনের নিচতলা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তায় থাকা যাত্রীবাহী তিনটি বাস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। যে ভবন থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেটি চারতলা বিল্ডিং। বিস্ফোরণের অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, সিআইডির ফরেনসিক বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।

বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এখানে যেহেতু হাইড্রোজেন ও কার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তাহলে ধরা যেতে পারে সেখানে ন্যাশনাল গ্যাসের লিকেজ থেকে ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গ্যাস পাইপ লাইন লিকেজ, যে কারণেই ঘটনা ঘটুক না কেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

বিস্ফোরক পরিদর্শক আরও বলেন, ‘এখানে অসাধারণ একটি বিষয় জড়িত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতো বড় আওয়াজ ও এতো বড় ধ্বংসযজ্ঞ সাধারণভাবে ঘটে না। কোন বিস্ফোরণের জন্য এত বড় ক্ষতি হতে পারে না। বিগত দিনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে যা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। মগবাজারের এই ঘটনাটির অনেক পার্থক্য রয়েছে। এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

সংস্থাটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিস্ফোরক পরিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি; অনুসন্ধান চলছে। তবে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, ভবনটিতে হাইড্রোকার্বনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাইড্রোজেন ও কার্বন পাওয়া গেলে এটাকে আমরা ধরে নিই ন্যাচারাল গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে; ন্যাচারাল গ্যাস যেটা সরকারিভাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে কানেকশন করা হয়ে থাকে।’

হাইড্রোকার্বনের মাত্রা কেমন পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খোলামেলা থাকায় এর মাত্রা কম পাওয়া গেছে।’

একইদিন দুপুরে মগবাজার ওয়ারলেস গেটে বিস্ফোরিত এলাকা পরিদর্শন শেষে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিস্ফোরিত এলাকায় মিথাইল গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেছে।’

আরবিসি/২৮ জুন/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category