• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

পদায়নের দাবিতে রাবিতে গণনিয়োগপ্রাপ্তদের আল্টিমেটাম

Reporter Name / ১২৫ Time View
Update : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : যোগদানের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত পদায়নের দাবীতে এবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সদ্য গণনিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচি থেকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে গণনিয়োগপ্রাপ্তদের পদায়ন করা না হলে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদত্যাগসহ আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালীন বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজ মাহমুদ, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ডিলস, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মো. রাসেল, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আরকান উদ্দিন বাপ্পি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক মতিউর রহমান মুর্তজা প্রমুখ।

মানববন্ধনোত্তর সমাবেশে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, বর্তমান রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা অনৈতিকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৮ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদায়ন স্থগিত করে রেখেছেন। নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের প্রদান করা এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে রেখেছেন। তারা অবিলম্বে নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পদায়নের দ্রুত দাবি জানান।

নিয়োগপ্রাপ্তরা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের মৌখিক আদেশ এই বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। কিন্তু রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা মন্ত্রণালয়ের মৌখিক আদেশে পদায়ন স্থগিত করে রেখেছেন। কিন্তু বিষয়টি তা নয়, শিক্ষকদের দুই গ্রুপের দলাদলির কারণে এই নিয়োগ স্থগিত করে রাখা হয়েছে। তারা দাবি করেন, বৈধভাবে ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশের আলোকে উপাচার্যের ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম. আবদুস সোবহান নিয়োগ দিয়েছেন। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পদায়ন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেবো না বলেও হুশিয়ারি দেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ও ৬ মে সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান ১৩৮ জন শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়োগ ও যোগদানের ব্যবস্থা করেন। ওইদিনই শিক্ষামন্ত্রণালয় উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহাকে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ এর ১২ (৫) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে একজন উপাচার্যের প্রদান করা নিয়োগের ওপর গত ৮ মে রুটিন দায়িত্ব পাওয়ার পর অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা যোগদান স্থগিত করে দেন।

আরবিসি/২৮ জুন/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category