আরবিসি ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের ডোবার পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় ঝোপঝাড়ে ঢেকে ছিল দুইটি আমগাছ। তাই স্বাভাবিকভাবেই এতোদিন গাছ দুটি কারো চোখে পড়েনি। গতবছর জঙ্গল পরিষ্কার করার পর গাছগুলো উদ্ধার হলেও ফলন আসেনি। তবে উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে এবছর বাম্পার ফলন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে হাঁটু পানি। সেখানে একটি জায়গায় দুটি আমগাছ। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে আম। গাছ দুটি থাকাতে আমগুলো সবুজের ওপরে লাল রঙয়ে ছেয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিসেস ভিক্টর মেল নামের ব্যক্তির অধীনে ১৯২৫ সালে বীজ থেকে জন্ম নেয় পালমার জাতের আমগাছ। পরের কয়েক দশক পর্যন্ত এই গাছ সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও ২০০৫ সালে এটি সরকারিভাবে নামকরণ করা হয় ‘আমেরিকান পালমার।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মী মেহেদি হাসান বলেন, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার পর দু’একটা আম এসেছিল। তারপরও পরের বছর গাছের ফলন ও জাত দেখার জন্য ডিডি স্যার গাছটি রাখতে বলেছিলেন। এবছর ব্যাপকভাবে আম ধরেছে। লাল রঙয়ে ছেয়ে গেছে দুটি গাছ।’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. হাবিবুল্লাহ জানান, গাছ দুটির বয়স প্রায় ৮-৯ বছর। গাছ দুটিতে যে আম ধরেছে তা বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘আমেরিকান রেড পালমার’।
আরবিসি/২৬ জুন/ রোজি