• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রিমান্ড শেষে মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্ত কারাগারে রাজশাহীতে চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে রাসিকের মতবিনিময় সভা রাজশাহীতে ‘মার্সেল হা-শো’র অডিশন বুধবার মোহনপুরে মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রাজশাহীতে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী সুরক্ষার দাবি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা নদী সুরক্ষা ও দেশজুড়ে নৌ পথ চালুর দাবিতে ইয়্যাসের স্বারকলিপি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে : ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জাওয়াদুল হক

সবজির বাজারে ‘লকডাউনের’ প্রভাব

Reporter Name / ৯৭ Time View
Update : শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ দেওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ ও সবজির দাম।

বিভিন্ন জেলা থেকে লকডাউনের জন্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ফলেই এ দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বিশেষ করে ঢাকার সঙ্গে কয়েকটি জেলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াকেই বেশি সামনে আনা হচ্ছে। ক্রেতাদের বলছেন, কোনোরকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (২৫ মে) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। এছাড়া ডিমের দামও বেড়েছে হালিপ্রতি ৫টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে অনেক সবজি পৌঁছাতে পারছে না। ফলে দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহের সমস্যা না থাকলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে, দাম বাড়লেও বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই। আলু, পটল, করলা, টমেটো, শিম, লাউ, কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়া, ঢেঁড়স, বেগুন, মুলা, লালশাক, পালং শাক, লাউ শাক সবকিছুই বাজারে ভরপুর।

এদিকে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, কালো বেগুন ৯০ টাকা, সাদা সাদা/সবুজ বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি শশা ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকায় এবং লাউ প্রতিপিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারও (২৪ জুন) এসব সবজির অধিকাংশের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কম ছিল। এছাড়া গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ঢেঁড়স, বেগুন, পটল, বরবটি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। তুলনামূলকভাবে বেড়েছে টমেটো, শশা, গাজর এবং বেগুনের দাম।

সবজি বিক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে কয়েকটি সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা। পাইকারিতে বাজারে প্রতি পাল্লায় (৫ কেজি) সবজির দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে আমাদেরও বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সবজির এমন দামে ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করছে। বাজার করতে আসা সোহেল রানা বলেন, সবজির কোনো কমতি নেই। বাজারে লকডাউনের কোনো প্রভাবও নেই। সেই হিসেবে সব সবজিরই দাম কমার কথা। কিন্তু বাজারে এসে দেখি সবকিছুরই দাম বেড়েছে। কোনোরকম অজুহাত পেলেই দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।

এদিকে, মাছের বাজারে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতা খুব বেশি নেই, তবে দাম বেশ চড়া। এখানেও সরবরাহ স্বল্পতার কথা বললেন বিক্রেতারা। রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়িসহ সবধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এছাড়া রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে বেড়েছে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ ও সবজির দাম।

আরবিসি/২৫ জুন/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category