স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে তৃতীয় দফায় চলছে কঠোর লকডাউন। এই পরিস্থিতে চরমভাবে সংকটে আছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে যারা খাদ্যসংকটে ভুগছেন তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করলে খাবার বা নগদ টাকা পৌঁচ্ছে দিবে স্থানীয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, বর্তমানে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অবহ্যত রয়েছে। এর বাইরেও নগর আওয়ামী লীগ, ও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে। এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। কোনো মানুষ খাদ্যর অভাবে থাকবে না বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি সকলকে স্বাস্থাবিধি মেনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম দিকে যে লকডাউন ছিলো তা অত্যন্ত ভালো ছিলো এখনো সেই চেষ্টাই আছে। এ সময় তিনি লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নজরদারি রাখছে। জরুরি প্রয়োজন বাদে কেউ রাস্তায় বের হতে পারছে না। আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলবে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, লকডাউনে সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমহল, মার্কেট, দোকান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। তবে ওষধ, কাঁচাবাজার, চিকিৎসা সেবা লকডাউনের আওতামুক্ত রয়েছে। এছাড়াও লকডাউনের সময় বাস, ট্রেনসহ কোন প্রকার যানবাহন রাজশাহী নগরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং রাজশাহী মহানগর হতে বাইরে যেতে পারবে না। তবে আমসহ কৃষি ও খাদ্য সামগ্রীবাহী পরিবহন চলাচল করবে। জনসমাবেশ হয় এমন সব ধরণের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর পর গত ১৬ জুন সেটি আরেক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফা বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
আরবিসি/২৪ জুন/ রোজি