স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : বুধবার উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযথ ভাবে বাঘায় উৎযাপন করা হয়েছে। এ দিন ৭২ পাউন্ড কেক কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলী। দলের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসাকে স্বাগত জানিয়েছেন আড়ানী পৌর আওয়ামীলীগসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বিকেল ৫ টায় আড়ানী পৌর কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ঈদগাহ্ মাঠে মহামারি করোনার কারনে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে এই কেক কাটার আয়োজন করা হয়। এ সময় মেয়র মুক্তার আলী বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিক ভাবে জন্ম নেওয়া প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। এ দলটির আজ গৌরবোজ্জ্বল ৭২-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আমি যতোদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এই দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে পৌরবাসীর ক্ষেদমত করে যাবো।
তিনি বলেন,আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল আমি এই পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর সভায় রুপান্তরিত করবো। আল্লাহ্ পাকের অশেষ মেহের বানীতে আমি সেই লক্ষে উন্নয়ন করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আড়ানী বাজারের ভিতর চারপ্রান্ত দিয়ে পিচ ঢালায় রাস্তা নির্মান সহ রুস্তমপুর পশু হাটের উন্নয়ন করেছি। উন্নয়ন করেছি এলাকার রাস্তাঘাট। এতে জলাবদ্ধতা কমেছে, সেই সাথে করেছি সু-প্রিয় পানির ব্যবস্থা সহ সেনিটেশন।
মুক্তার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজকে আমরা রাষ্টভাষা বাংলায় কথা বলতে পারতাম না। আমাদের নতুন করে উর্দু ভাষা শিখে তবেই কথা বলতে হতো। আমরা পেতাম না একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট। এই অর্জন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আর এ জন্য তাঁকে বাঙ্গালী জাতির পিতা বলা হয়। বর্তমানে তাঁর সু-যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর আমরা জনপ্রতিনিধিরা তাঁর দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি।
এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থেকে মুক্তার আলী তাঁর রাজনৈতিক গুরু এবং বড় ভাই স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে বলেন, শাহরিয়ার আলম চারঘাট-বাঘার উন্নয়নের রুপকার এবং গনমানুষের নেতা। তিনি পর-পর তিনবার নির্বাচিত হয়ে যে অভুতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তা বিগত কোন সরকার আমলে হয়নি।
মুক্তার আলী শাহ্রিয়ার আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, যে মানুষটি তাঁর নিজেস্ব অর্থায়নে মহামারি করানা মোকাবেলায় ডাক্তারদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন, গরিব-দুখিদের বাড়িতে লোক মারফত খাবার পৌছে দেন, ঈদের সময় কাপড় উপহার দেন, দু’টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌর ভবন নির্মানের জন্য জমি দান করেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এর ব্যবস্থা করেন, একই উপজেলায় একটি মাধ্যমিক ও একটি উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানকে সরকারি করণ করেন, নিজ অর্থায়নে মা-ও শিশু হাসপাতাল নির্মান করেন, এলাকায় অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন ও রাস্তাঘাট সহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেন, তাকে খারাপ বলার মানুষ কোন অবকাশ নেই।
উক্ত জন্মদিন পালন ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক রাম গোপাল সাহা ও আড়ানী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রিবন আহাম্মেদ বাপ্পী। উপস্থিত ছিলেন, আড়ানী বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ সরকার , সাধারণ সম্পাদক শ্রী সনত কুমার সাহা, সাবেক আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন মন্টু , আড়ানী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ শামিম সরকার, সমাজ সেবক মোজাম্মেল হক, জিনানাহ সরকার, শ্রী, অমল কুমার দাস, শিক্ষক সঞ্জয় কুমার-সহ পৌর এলাকার জনসাধারণ।
আরবিসি/২৩ জুন/ রোজি