স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিভাগের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে রাজশাহী বিভাগের জনপ্রতিনিধি, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা, করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সোয়া ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকাপ্রান্তে ডিজি (স্বাস্থ্য), আইইডিসিআর পরিচালক সহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় প্রান্ত থেকে সভায় যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছি। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জরুরি প্রয়োজনে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশও বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু করেছে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং গরীব ও অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। করোনা বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
ভার্চুয়াল সভায় রাসিক মেয়র রাজশাহী সদর হাসপাতাল চালুুর ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সদর হাসপাতাল চালুর ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আরো বক্তব্য দেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউল হক, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার প্রমুখ।
সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এবিএম শরীফ উদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ প্রমুখ।
সভায় রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ নিজ নিজ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্ত থেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি /২২ জুন/ রোজি