আরবিসি ডেস্ক : সাভারের আশুলিয়ায় খাতার মলাটের সূত্র ধরে ৩ মাস পর কফিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রিতা বেগম নামে প্রতিবেশী নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রিতা বেগম নওগাঁ জেলা সদরের চকরামচন্দ্র মহল্লার খাইরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত কফিল উদ্দিন জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাতুসি গ্রামের মৃত কাজী মুনশী শেখের ছেলে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপ জানান, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ডা. সাফকাতের বাড়ির কেয়াটেকার কফিল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শরীরের কোন আঘাতের চিহৃ নেই। তবে ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী এক নারী পালিয়ে যায়। সেই ঘরে তল্লাশী করে শুধু একটি খাতার মলাট পাওয়া যায়। সেই মলাটে শিশুর নাম ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই দীর্ঘ ৩ মাস পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রিতার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কৌশলে ঘরে নিয়ে রিতা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গলা চেপে ধরলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কফিল উদ্দিন। আগে থেকেই শ্বাস কষ্টের রোগী ছিলেন কফিল উদ্দিন। ঘটনা আড়াল করতে কফিল উদ্দিনের হাতে ইনহেলার দিয়ে পালিয়ে যায় রিতা বেগম।
৩ মাস আগে অপমৃত্যু মামলা হলেও রাতে নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরবিসি/১৯ জুন/ রোজি