আরবিসি ডেস্ক : আষাঢ়ের শুরুতে কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি। কখনো হালকা, কখনো বা মাঝারি। সেই সাথে বইছে বাতাসও। এর মধ্যেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আজ শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, দেশের সর্বত্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে শনিবার বিকালের মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ।
৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলে ভারি এবং ৮৯ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে অতি ভারি বর্ষণ বলা হয়। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১২৫ মিলিমিটার।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৩৮, চট্টগ্রামে ৯২, সিলেটে ২১, রাজশাহীতে ৮, ফরিদপুরে ৬৩, চাঁদপুর ও মাইজদীকোর্টে ৭৪, সন্দ্বীপে ১০৬, টেকনাফে ৮১, খুলনায় ৪৭ ও বরিশালে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
তবে সোমবারের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, কক্সবাজার ও সংলগ্ন অঞ্চলে ভারি বর্ষণের ফলে সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে দ্রুত পানি বাড়তে পারে। এতে কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যারও শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে—মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
দেশের সব সমুদ্র বন্দর থেকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
আরবিসি/১৯ জুন/ রোজি