আরবিসি ডেস্ক : কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশে আগামীকাল শনিবার (১৯ জুন) পুনরায় শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রয়োগ। কাল থেকে চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করা হবে। টিকা দেওয়ার জন্য ১০টি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা আগে টিকা নেননি, তারা এবার অগ্রাধিকার পাবেন। বিদেশগামীরাও অগ্রাধিকারপ্রাপ্তদের তালিকায় থাকবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিকরাও এ টিকা পাবেন।
সিনোফার্মের টিকা ইতোমধ্যে টিকাদান কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যারা টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তা পাননি, তাদের এ টিকা দেওয়া হবে।
সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ম্যাটস ও আইএইচটির শিক্ষার্থী, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, বিডা’র আওতাধীন ও অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে (পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস হাইওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প) সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সারা দেশে করোনায় মৃতদের লাশ সৎকারে নিয়োজিত কর্মীরা টিকা পাবেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সী মানুষ, গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মা, ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় অসুস্থ বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা টিকা নিতে পারবেন না। ভ্যাকসিন-জনিত এলার্জির ইতিহাস থাকলে এবং প্রথম ডোজ গ্রহণের পর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে টিকা নিতে পারবেন না।
অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ঘা, অ্যাজমা, ক্যানসার, কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং স্বল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ডা. শামসুল হক জানিয়েছেন, দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল বা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় (ঢাকা বাদে) একটি করে টিকাদান কেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে দুটি করে বুথ থাকবে। রাজধানীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র হবে। এসব কেন্দ্রেও দুটি করে বুথ থাকবে।
আরবিসি/১৮ জুন/ রোজি