স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় শিবির কর্মীর যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন এক হিন্দু পরিবারের স্কুলছাত্রী। অভিযুক্ত শিবির কর্মীর নাম হাফেজ তারেক চৌধুরী (২৫) । এ ঘটনায় সম্প্রতি গ্রাম্য শালিসে তাকে বিয়ে করে বাড়ী ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর। অন্যথায় এলাকা ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাশের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের মানিক চৌধুরী তার নিজ এলাকায় পল্লী চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর আগে তিনি বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকায় জমি কিনে আরো একটি বাড়ী নির্মাণ করেন। এরপর আড়ানী পৌর বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চৌধুরী ডিজিটাল স্টুডিও তৈরী করে সেখানে তার দুই ছেলে হাফেজ তারেক চৌধুরী এবং রফিক চৌধুরীকে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব দেন। এরমধ্যে তারেক চৌধুরী শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১৩ জুন বিকেলে আড়ানীতে নিজ বাড়ির পাশে সপ্তম শ্রেনীর ওই ছাত্রী একা অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে শিবিরকর্মী তারেক চৌধুরী বাড়ীতে প্রবেশ করে যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় তারেক চৌধুরী।
এদিকে ঘটনার দু’দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশাদুল ইসলাম রানার সভাপতিত্বে অভিযুক্ত তারেক চৌধুরীর বাড়ীতে একটি শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে তারেক চৌধুরীকে দুই লাখ টাকা খেসারত গুনতে হয় বলে নিশ্চিত করেন পৌর আ’লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান শহিদ।
তবে উভয় পরিবারের ডাকে শালিসে মিমাংসার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেয়ার ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন পৌর কাউন্সিলর আশাদুল ইসলাম রানা। তিনি বলেন, জাতিগত ভাবে দুই পক্ষ পৃথক ধর্মালম্বী হওয়া এবং মেয়ের বয়স কম হওয়ার কারণে ছেলের পিতা মানিক চৌধুরীকে বলা হয়েছে ছেলেকে গ্রামের বাড়ী আব্দুলপুর নিয়ে যান। এরপর তাকে বিয়ে দিয়ে তবেই আড়ানীতে পাঠাবেন। তার আগে যেনো সে এখানে প্রবেশ না করে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত শিবিরকর্মী তারেক চৌধুরীকে মোবাইল ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আড়ানী পৌর জামাতের আমীর মনিরুল আজম জিঞ্জু বলেন, তারেক চৌধুরী আমাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন সমর্থক। তিনি ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয় নি।
আরবিসি/১৭ জুন/ রোজি