• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

‘পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা’

Reporter Name / ১০৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : গুলশানের ক্লাবে ভাঙচুরের ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লাবের ঘটনাটি আমাদের গুলশান টিমের এলাকায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি মঙ্গলবার গভীর রাতে পরীমনি ওই ক্লাবে গিয়েছেন। ৯৯৯-এর একটি ফোনে সেখানকার ঘটনাটি জানতে পারে পুলিশ। তবে পরবর্তীতে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। একটি মামলা হয়েছে ঢাকা জেলাতে। যেহেতু মামলাগুলো চলমান, পরীমনি অবশ্যই প্রয়োজনে সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আসবে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শেষে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা যাবে।

এদিকে গুলশান-১ এর অল কমিউনিটি ক্লাবে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তর্কাতর্কি ও বাগবিতণ্ডার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, সাধারণত ৯৯৯ থেকে কোনো ডাক পেলে পুলিশ সেই স্থানে গিয়ে কী পেল, না পেল তা অবগত করতে হয়। তার অংশ হিসেবে সেদিনের ক্লাবের ঘটনাটি পুলিশ জিডি আকারে লিখে রাখে।

মঙ্গলবার মধ্য রাতে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়িকা ও তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ওই ক্লাবে গিয়ে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন বলে অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কেএম আলমগীর ইকবাল দাবি করেন। গণমাধ্যমে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। তবে ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরীমনি।

ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কেএম আলমগীর ইকবাল বলেন, পরীমনি সেদিন ক্লাবে ভাঙচুর করেন। পরীমনির সঙ্গী হাফপ্যান্ট পড়া ছিলেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় পরীমনি ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেন।

ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেন, ক্লাবের কিছু নিয়ম-কানুন আছে। কোনো ব্যক্তি যদি ক্লাবে আসেন তাকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। কিন্তু পরীমনির সঙ্গে আসা ভদ্রলোক হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরে এসেছেন। তখন ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আমাদের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক ও ক্লাবের এক ম্যানেজার। উনারা সেটা দেখে বলেছেন যে, আপনিতো ক্লাব রুলস ভায়োলেট করেছেন। আপনিতো হাফপ্যান্ট পরে এখানে আসতে পারেন না। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় উনারা (ডিরেক্টর ও ম্যানেজার) বলেছেন, রাত অনেক হয়ে গেছে আপনারা চলে যান। কিন্তু তারা চলে যাচ্ছিল না বিধায় আমাদের দুই পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান।

পরে ঘটনার বর্ণনায় ক্লাব প্রেসিডেন্ট বলেন, তারপর যেই সদস্যের মাধ্যমে উনারা এসেছিলেন উনিও তাদের চলে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করেন। কিন্তু উনারা যাচ্ছিলেন না বিধায় ওই সদস্যও চলে যান। এরপর উনারা (পরীমনি ও সঙ্গীরা) অকস্মাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যান, চেঁচামেচি শুরু করেন এবং গ্লাস, স্ট্রে ছুড়ে মারতে থাকেন। তখন আর কেউ ছিলেনও না ক্লাবে। দুজন ওয়েটার ছিলেন আর এ তিন-চারজন মানুষ ছিলেন।

একপর্যায়ে ক্লাবের কর্মীরা ট্রিপল নাইনে কল করেন। পুলিশ আসার পর তারা দেখতে পান, উনি ওগুলো ছুড়ে মারছেন। তখন পুলিশ তাদের জিজ্ঞেস করে আপনারা কেন এসেছেন, কেন আমাদের কল করেছেন? তখন তারা বলেন, আমাদের হেনস্তা করা হয়েছে।

তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, কিছু তো দেখছি না। তারপর পুলিশ সদস্যরা ওয়াকিটকির মাধ্যমে উপরে (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) জানতে চান আমরা কি করব। তখন উপর থেকে নির্দেশ আসে উনারা এমন করলে তাদের বের করে দিয়ে আপনারা চলে যান।

আরবিসি/১৭ জুন/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category