স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের বঙ্গবন্ধু কর্ণারের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই অক্সিজেন সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহযোগিতায় এ সেবা চালু করা হলো। কদিন আগে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশও একই সেবা চালু করেছে।
সিটি বাইরে রাজশাহীর উপজেলা ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলার মানুষের জন্য আরও ৪০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ করেন সিটি মেয়র। এর মধ্যে তিন জেলায় ১০টি করে ৩০টি এবং রাজশাহীর নয় উপজেলার জন্য ১০টি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এখন থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় অথবা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন ব্যক্তি ও তাঁর স্বজনেরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের হটলাইন- ০১৭৫৮-৯০১৯০৩ নম্বরে কল করলেই তাৎক্ষণিক তার বাড়িতে অক্সিজেন নিয়ে পৌছে যাবেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। রোগীকে পরীক্ষা করে প্রয়োজনমতো দেওয়া হবে অক্সিজেন ও চিকিৎসাসেবা।
তিনি বলেন, ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে এই সেবা। ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে চালু হলো মানবিক এই সেবা কার্যক্রম। আগামীতে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবায় যুক্ত হবে আরো অক্সিজেন সিলিন্ডার। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার ও ওষুধ প্রয়োজন হলেও সেটিও সরবরাহ করবে সিটি কর্পোরেশন।
মেয়র লিটন বলেন, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অক্সিজেন অতি জরুরী প্রয়োজন। আক্রান্তদের অধিকাংশের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। প্রচুর সংখ্যক মানুষ বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদেরও অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। মানুষের জীবন সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। আগামীতে এর পরিধি বাড়ানো হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রাথমিকভাবে ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’। ওইদিন আরএমপি কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’-এর উদ্বোধন করেন।
আরএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘করোনার সেকেন্ড ওয়েভের কারণে আক্রান্তের হার বেড়েছে। এতে অনেক গরিব, অসহায় প্রয়োজনের সময় অক্সিজেন পাচ্ছেন না, এতে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। এই সঙ্কটের কথা চিন্তা করে সাধারণ জনগণ ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যসহ যে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগীদের কাছে বিনামূল্যে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’ গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ছাড়া রাজশাহীর অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে সেন্ট্রাল অক্সিজেন নেই। অপরদিকে রামেক হাসপাতালে করোনা রোগী বাড়ছে। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে অক্সিজেন সিস্টেম চালু করতে অন্তত দুই থেকে তিন মাস লেগে যাবে। এসব কথা ভেবেই আরএমপির পক্ষ থেকে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’ গঠন করা হয়েছে।
আরবিসি/১৭ জুন/ রোজি