স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাড়ী থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এরা হলো, উত্তর মিলিকবাঘার এমদাদ আলীর ছেলে তারেক (২৫), মিলিক বাঘার সাদেক আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ওরফে নাসির উদ্দিন (২৩ ) এবং বাজুবাঘা গ্রামের নহসেন আলীর ছেলে সবুজ আলী (২১)।
তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রেমিক সুমন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রীকে মোবাইল করে ডেকে আনে তার প্রেমিক সুমন (২২)। আসল নাম আল-আমিন হলেও সে তার নাম সুমন বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলো। তার বাড়ি উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায়। তার পিতার নাম মানিক হোসেন বলে জানা গেছে।
স্কুলছাত্রী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন তার সঙ্গে এর আগেও শারিরিক মেলামেশা করেছে। সর্বশেষ শনিবার সন্ধ্যায় সে ওই ছাত্রীকে মোবাইল করে উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রাম থেকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ডেকে আনে। এরপর সুমন একটু পরে আসছি বলে তার তিন বন্ধুর কাছে তাকে রেখে চলে যায়। তবে সুমন ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এ সুযোগে বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনে ছাত্রীকে পালাক্রমে করে গ্রেফতারকৃত তারেক (২৫) আরিফ হোসেন ওরফে নাসির উদ্দিন ও সবুজ আলী।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর দিন রবিবার রাতে ওই ছাত্রী তার বাবা-মাকে সঙ্গে করে বাঘা থানায় এসে চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে তবে মুল অভিযুক্ত আল আমিন এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরবিসি/১৪ জুন/ রোজি