আরবিসি ডেস্ক : অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৫০) নিজের বিনোদনের জন্য অর্থে বিনিময়ে একাধিক নারী সঙ্গী রাখতেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর রাজধানীর উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরে ১২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িতে (অমির বাসা) দুই নারী লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তারকে (১৯) সঙ্গে নিয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা করেছিলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
সেখানে অমির সঙ্গে তার বর্তমান গার্লফ্রেন্ড নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪) অবস্থান করছিলেন। সাভারের ঢাকা বোর্ট ক্লাবে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটানোর পরও অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তার অপকর্মের সহযোগী অমির বাসায় অবস্থান নিয়ে গত তিনদিন ধরে আমোদ-বিনোদন অব্যাহত রেখেছিলেন।
এদিকে, পরীমনির দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরায় অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৫০) ও অমিসহ (৩০) তাদের তিন নারী সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, অমির বাসায় অভিযান পরিচালনার সময় সেখানে অবস্থানরত তিন নারীর দেখানো জায়গা থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ-বিয়ার ও এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ওই বাসায় নাসির ও অমির তিন নার সঙ্গীকে মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মাদক মামলায় পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিকে সাভার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের (উত্তরা) যুগ্ম-কমিশনার মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, ব্যবসায়ী নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। তিনি উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। কিন্তু নাসিরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে থাকায় তাকে ওই ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে তথ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও নাসির বিনোদনের জন্য অর্থের বিনিময়ে নারী সঙ্গী রাখতেন। নাসিরের বিরুদ্ধে কেউ যদি অভিযোগ করে তবে আমরা সেগুলোর তদন্ত করবো।
আরবিসি/১৪ জুন/ রোজি