• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দিতে হবে রাজশাহীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা নদী সুরক্ষা ও দেশজুড়ে নৌ পথ চালুর দাবিতে ইয়্যাসের স্বারকলিপি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে : ভাইস চ্যান্সেলর ডা. জাওয়াদুল হক কোর্ট হড়গ্রাম কাঁচা বাজারে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় হকি তারকা মিন্টু ও শামীমের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু   ঢাকা বোট ক্লাবের নব-নির্বাচিত সদস্য খন্দকার হাসান কবিরকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাবের শুভেচ্ছা তানোরে স্থানীয়দের তৎপরতায় জলাশয় ভরাটের মাটি ফেলা বন্ধ রাজশাহীতে কসমিকা ডিসট্রিবিউশন অফিসে দূর্ধর্ষ ডাকাতি

বৃষ্টির পানি পান স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো?

Reporter Name / ১৪২ Time View
Update : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : এখন বর্ষা মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, বৃষ্টির পানি পান করা কতটা নিরাপদ? সংক্ষিপ্ত উত্তর হলো: সবসময় এটি নিরাপদ নয়। তাহলে কখন নিরাপদ, কখন নয়- চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বৃষ্টির পানি যখন অনিরাপদ

বৃষ্টির পানি পরিষ্কার হয়ে থাকলে, পান করায় ভুল কিছু নেই। প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বের অনেক সম্প্রদায় পানীয় জলের প্রাথমিক উৎস হিসেবে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তাই বলে, বৃষ্টির সব ধরনের পানি পান করা যাবে না।

বৃষ্টি মাটিতে পড়ার আগে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে আসে, তাই এটি বাতাসের যে কোনো দূষক ধারণ করতে পারে। বায়ুমণ্ডলে ধুলোবালি এবং অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যেগুলো বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারে। বায়ুদূষণ বেশি এমন এলাকার বৃষ্টির পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাসায়নিক কারখানা রয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে এমন এলাকায় বৃষ্টির পানি পান না করাটাই ভালো। একইভাবে গাছপালা বা বাড়িঘর ছোঁয়া বৃষ্টির পানিও পান করা উচিত নয়।

বৃষ্টির পানি যখন নিরাপদ

বৃষ্টির পানি শতভাগ পরিষ্কার- নিশ্চিত হলে তবেই পান করতে পারেন। এছাড়া অনেক সময় কলের পানির তুলনায় বৃষ্টির পানি কম দূষিত হতে পারে।

বৃষ্টির পানি নিরাপদ করবেন যেভাবে

বৃষ্টির পানির গুণমান উন্নত করতে দুটি কাজ করতে পারেন। বৃষ্টির পানি ফুটিয়ে নেওয়া বা পানি ফিল্টার করে পান করা। পানি ফুটানো হলে প্যাথোজেনগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ফিল্টারের ফলে ধূলিকণাসহ অন্যান্য দূষকগুলো দূর হয়ে যাবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, বৃষ্টির পানি কীভাবে সংগ্রহ করছেন তার ওপরও পানির মান নির্ভর করে। আকাশ থেকে সরাসরি বৃষ্টির পানি পরিষ্কার বালতি বা বাটিতে সংগ্রহ করতে পারেন। বৃষ্টির পানি কমপক্ষে এক ঘণ্টা বসতে দিন যাতে এর ভারী উপাদানগুলো নিচে জমা হয়।

বৃষ্টির পানিতে স্বাস্থ্য উপকারিতা

আরবিসি/১৪ জুন/ রোজি

এ বিষয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করলে আপনি বেশ কিছু আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। যেখানে বৃষ্টির পানি পানের নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এ জাতীয় বেশিরভাগ দাবির কোনো শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বৃষ্টির পরিষ্কার পানি পান স্বাস্থ্যকর হলেও, অন্যান্য পরিষ্কার পানির উৎসের তুলনায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি উপকারী নয়।

অর্থাৎ বৃষ্টির পানি পানে হজমের উন্নতি, শরীরের বর্জ্য পদার্থ দূর হওয়াসহ অন্যান্য যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা বলা হচ্ছে, এগুলো যে কোনো উৎসের বিশুদ্ধ পানি পানের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।

মূল কথা

বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করাটা সহজ একটি সমাধান মনে হলেও, এটি সর্বদা নিরাপদ নাও হতে পারে। এতে বিদ্যমান নানা ধরনের দূষক আপনাকে অসুস্থ করতে পারে। আকাশ থেকে সরাসরি যে বৃষ্টি পড়েছে শুধু সেই বৃষ্টির পানি পান করার জন্য সংগ্রহ করা উচিত।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, থটসিও


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category