আরবিসি ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় গুলি করে স্ত্রী ও সৎ ছেলেসহ তিনজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার একটি মার্কেটের সমানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ধাওয়া দিয়ে ওই এএসআইকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
নিহত আসমা অভিযুক্ত সৌমেনের দ্বিতীয় স্ত্রী আর শিশু রবিন আসমার আগের পক্ষের ছেলে। মারা যাওয়া আরেকজন হলেন- শাকিল খান। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাঁওতা গ্রামের বিকাশ কর্মী। আসমার বাড়িও সাওতা গ্রামে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় বছর আগে বিয়ে হয় সৌমেন ও আসমার। অভিযোগ; শাকিলের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল আসমার। তিনজনকেই হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে তারা গুলির শব্দ শুনতে পান। এ সময় এক শিশুকে পেছন থেকে গুলি করলে পড়ে যায় সে। এরপর নারী ও এক পুরুষকে গুলি করা হয় কাছ থেকে। ধাওয়া দিয়ে সৌমেনকে অস্ত্রসহ আটকে রেখে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গুলির ঘটনা জানার পর আমরা এলাকায় আসি। তিনজনকে গুলি করা হয়েছে। যে গুলি করেছিলো তাকে আমরা আটক করেছি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সৌমেন এএসআই পদে খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি কুষ্টিয়ায় চাকরি করেছেন।
আরবিসি/১৩ জুন/ রোজি