আরবিসি ডেস্ক: দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ১০ বছরে বজ্রপাতে দেশে ২ হাজার ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা গেছে ১০৭ জন। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বছরের মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাত বাড়ার পেছনে জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের প্রভাবকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ সালের মধ্যে দেশে বজ্রপাত হয়েছে ৩১ রাখ ৩৩ হাজারের বেশি। তবে বজ্রপাতের ২৬ শতাংশের বেশি হয় মে মাসে। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে , ২০১১ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বজ্রপাতে দেশে ২ হাজার ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি বছরের ৭ জুন পর্যন্ত মারা গেছে ১০৭ জন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পূবালী ও পশ্চিমা বায়ু যেখানে সংমিশ্রণ ঘটে, সেখানে প্রচুর ক্লাউড সেল ডেভলপ হয়। ওই এলাকায় প্রচুর বজ্রপাত হয়। মনসুন সিজনে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুনের প্রথম দিকে যে বজ্রপাত হয় এর তীব্রতা বেশি থাকে। ফলে এই সময়ে মানুষ নিরাপদে অবস্থান না করলে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়ে।
তিনি বলেন, ‘বজ্রপাতের আমরা নিজেরাই দায়ী। গাছপালা কমে যাচ্ছে, বহুতাল ভবন বাড়ছে। পাশাপাশি গ্যাস নির্গমনের পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে।’ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে মোট বজ্রপাতের ৭০ শতাংশ হয়। তাই এ সময়টাতে সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় পৃথিবীতে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে বাড়তি আর্দ্রতা প্রভাব ফেলছে বর্ষা ঋতুর বৈচিত্র্যে। বজ্রপাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রাণহানিও। বিগত বছরগুলোর মতো এবছরও বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনায় দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে মাঠের কৃষকেরা।
আরবিসি/১৩ জুন/ রোজি