আরবিসি ডেস্ক : দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে ব্রাজিলকে কিছুটা সংগ্রামই করতে হয়েছে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। সেই সংগ্রামের শেষটা হাসিমুখেই করেছে কোচ তিতের শিষ্যরা। গোল করে সেলেসাওদের মুখে সে হাসিটা ফুটিয়েছেন রিশার্লিসন আর নেইমার।
পোর্তো আলেগ্রেতে নিজেদের মাঠ স্তাদিও বেইরা-রিওতে শনিবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিল আতিথ্য দেয় ইকুয়েডরকে। আগের চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে কনমেবল অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইতে শীর্ষে থাকা সেলেসাওদের হারাতে পারলে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ ছিল তৃতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডরের সামনে। কিন্তু সে সুযোগ তিতের শিষ্যরা দিলেন কোথায়?
দীর্ঘ আট মাসের বিরতির পর ব্রাজিল নেমেছিল মাঠে। তাতে মাঝমাঠে কিছুটা অগোছালো ভাবও ছিল বটে। কিন্তু তিতের দলের রক্ষণ ছিল শক্তপোক্তই। পুরো ম্যাচে তাই একটাও গোলমুখে শট নিতে পারেনি ইকুয়েডর। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকেও গোলমুখে কাটাতে হয়েছে অলস সময়।
প্রথম সুযোগটা এসেছিল ব্রাজিলের কাছেই। ২০ মিনিটে নেইমারের ফ্রি কিকে রিশার্লিসন পা ছোঁয়াতে পারলে হয়তো গোলটা তখনই পেয়ে যেতে পারত ব্রাজিল, কিন্তু এভারটন স্ট্রাইকার সে যাত্রায় পা ছোঁয়াতেই পারেননি বলে। তিন মিনিট পর আবারও সুযোগ আসে দক্ষিণ আমেরিকার সেরা দলটির সামনে। এবার গ্যাব্রিয়েল বারবোসা গাবিগোলের শটটা পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠেকান ইকুয়েডর গোলরক্ষক। গাবিগোল জালের দেখা পেয়েছিলেন অবশ্য এক বার, কিন্তু ৪১ মিনিটে তার চেষ্টা গোলে রূপ পায়নি অফসাইডের খড়গে। মিনিট দুয়েক পরই নেইমারের আক্রমণ। তার দূরপাল্লার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। আর ইকুয়েডর তো ব্রাজিল রক্ষণের পরীক্ষাই নিতে পারেনি!
দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একমুখী চলাচলের ধারাটা অব্যহত ছিল। ৬৪ মিনিটে নেইমারের চেষ্টা রুখে দেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক ডমিঙ্গেজ। তবে রিশার্লিসনের পরের চেষ্টাটা আর ঠেকাতে পারেননি।
আরবিসি/০৫ জুন/ রোজি