আরবিসি ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে করোনার চরম মুহূর্তে সরকারি নির্দেশনায় জরুরি বিভাগ, ক্যাজুয়ালটি, চর্ম ও যৌন রোগ এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন ওয়ার্ডকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়।
গত বছর ১৫ মে হাসপাতালের নিচতলায় রেড ও গ্রিন জোন নামে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে এক বছর পার হয়েছে। নতুন ভবনে জরুরি বিভাগ চালু করা হলেও ওয়ার্ড তিনটি নতুন কোনো ঠিকানা পায়নি। নতুন ভবনে বিচ্ছিন্নভাবে ওয়ার্ড তিনটির বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা চলছে।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সরকার বর্তমানে চলমান চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পৃথকভাবে স্থায়ী করোনা ওয়ার্ড স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানান্তর হওয়া তিন ওয়ার্ড এখনো স্থায়ী ঠিকানা পায়নি।
ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ২০টি শয্যা এবং চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে ২০টি শয্যা ছিল। একই সঙ্গে চর্ম ও যৌন রোগ এবং ফিজিক্যাল মেডিসিনের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১০০ করে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিত। তাছাড়া আছে মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের রোগী নিয়ে অনুশীলন। চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে আছে এমডি, এফসিপিএস ও ডিডিভির শিক্ষার্থী।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, করোনা সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসাও অব্যাহত রাখতে হবে। তাই সরকারিভাবে নির্দেশনা আসছে বর্তমানে চলমান ওয়ার্ডকে স্থায়ীভাবে রূপান্তর করার। প্রয়োজনে আলাদা জায়গা নির্ধারণ করেও চিকিৎসা সম্প্রসারণ করা হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা এখনো আসেনি। তিনি বলেন, কলেজের পুরনো একাডেমিক ভবনের জায়গায় চমেক হাসপাতাল (২) নামে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। নতুন ভবনটি হলে ওয়ার্ডগুলো সেখানে স্থানান্তর করা হবে।
আরবিসি/০৫ জুন/ রোজি