স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) পরিচালিত চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বৃস্পতিবার দুপুরে বগুড়া গাক চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় রাসিক মেয়র বলেন, হাসপাতালটির কার্যক্রম আমাদের মুগ্ধ করেছে। এটির চিকিৎসা সেবার মান যেমন উন্নত তেমনি স্বচ্ছল মানুষদের পাশাপাশি দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে সেবা পাওয়ার যে সুবিধা রেখেছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
রাসিক মেয়র রাজশাহীতেও এমন একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার ব্যাপারে সম্মত হওয়ায় গাক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ চোখসহ নানা রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। তবে গাকের মত এধরণের আধুনিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। মেয়র লিটন গাকের অন্যান্য কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, দৃষ্টিনন্দন ভবনই বলে দেয় গাক তার কাজের ক্ষেত্রে কতটা রুচিশীল।
গাক টাওয়ারে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যানের মধ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক ড. সাইদুজ্জামান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু ও গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিন বক্তৃতা করেন। গাক এর সিনিয়র পরিচালক ড. মাহবুব আলম পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
সমাপনী বক্তৃতায় গাকের নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা করেন। তিনি জানান, গাক টাওয়ারের পাশেই তাদের বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য তিনি বগুড়াবাসীর সহযোগিতা চান।
এর আগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন শহরের বনানী এলাকায় গাক টাওয়ারে এসে পৌঁছালে সংস্থার প্রধান ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান। পরে তাকে নিয়ে চক্ষু হাসপাতালের পাশাপাশি গাকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় রাসিক মেয়রকে গার্ক এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আরবিসি/০৩ মে/ রোজি