আরবিসি ডেস্ক : জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মহামারিকালে প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। ঘাটতিতেও রেকর্ড গড়েছে এই বাজেট প্রস্তাব। বাজেটের এক তৃতীয়াংশ যোগাড় করতে হবে ঋণ থেকে।
বৃহস্পতিবার বিকালে মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ও ৫০তম বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি৷ বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হবে পরিচালন ব্যয়ে, যার আকার তিন লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা৷ ৬৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকাই যাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে৷ রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা৷
বৈদেশিক অনুদান মিলিয়ে মোট অর্থ সংস্থান ধরা হয়েছে তিন লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকার৷ বাকি দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকছে৷ এর যোগান হিসেবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকার বৈদিশিক ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ অভ্যন্তরীন খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার৷
২০২১-২২ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ সাত হাজার ৬১৪ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১৭ দশমিক আট তিন শতাংশ৷ বিদায়ী অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা৷
করোনাকালে এটি দ্বিতীয় বাজেট। এবারের বাজেটও পেশ করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সময়ে। গত বছর মাত্র পৌনে এক ঘণ্টায় পেশ করা হলেও এবারের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনে সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা।
অধিবেশনের শুরুতে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ স্বল্পসংখ্যক সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বাজেট পেশের পর বৈঠক শেষ হয় ৪টা ৩২ মিনিটে। বাজেট পেশ ছাড়াও এ সময় অর্থবিল-২০২০ পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী ২৯ জুন এই বিল পাস হবে। আর বাজেট পাস হবে ৩০ জুন।
এর আগে আগামী রবিবার থেকে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে। সবমিলিয়ে বাজেট বাজেট পাসের প্রক্রিয়া ১০ দিন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরবিসি/০৩ মে/ রোজি