আরবিসি ডেস্ক : জীবন ও জীবিকা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কৃষি খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সম্পাদিত কাজের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী সামগ্রিক ব্যয় কাঠামো (উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয়) তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। সেগুলি হলো: সামাজিক অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো ও সাধারণ সেবা খাত।
বাজেটে সামাজিক অবকাঠামো খাতে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বরাদ্দ ও মানবসম্পদ খাতে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব রাখা হয়।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয় ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা; কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৭৪ হাজার ১০২ কোটি টাকা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে ৬৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকার প্রস্তাব রাখা হয়। করোনা মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ; স্বাস্থ্যখাতে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের গবেষণায় বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা; মাধমিক ও উচ্চ শিক্ষায় ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় ৯ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৪১ হাজার ১০ কোটি টাকা ও কৃষিখাতে ২৪ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা; তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা।
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাস্থ্য খাতে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আগের অর্থবছরের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের তুলনায় এবার তিন হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বাজেটের মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আসবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত আয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর বহির্ভূত খাতে রাজস্ব আসবে ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
এবারের বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এই ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
আরবিসি/০৩ জুন/ রোজি