স্টাফ রিপোর্টার, চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাটে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেধাবী শিক্ষার্থী শাহীন আলী ও তার মা মালেকা বেগমকে হত্যা চেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, ঝাড়ু মিছিল বের করে এলাকাবাসী।
এসময় চারঘাট-বানেশ্বর মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে চারঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষী ব্যাক্তিকে আটক ও ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী। বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চারঘাট-বানেশ্বর মহাসগকের নাওদাড়া খুদিরবটতলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শাহীন আলীর চাচাতো ভাই রাজু আহম্মেদ জানান, গত ২৫ মে জমি বিক্রয় কে কেন্দ্র করে নাওদাড়া গ্রামের সাদেক আলী তার দলবল নিয়ে শাহীন আলী ও তার মা মালেকা বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে শাহীন আলী মারাত্মক ভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় শাহীনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই শাহীনের পিতা জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে চারঘাট মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ দিকে লিখিত অভিযোগ দায়েরের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ আসামী গ্রেফতারে তেমন কোন আগ্রহ না দেখানোয় বাদী ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় গত মঙ্গলবার (১ জুন) বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৭ দিন পেরিয়ে গেলে আসামী সাদেক আলীকে গ্রেফতার না করায় চরম ক্ষুব্ধ হয় বাদীসহ এলাকাবাসী। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার বেলঅ সাড়ে এগারোটার দিকে আসামী সাদেক আলীকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল বের করেন এলাকাবাসী। পরে চারঘাট-বানেশ্বর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
রাজু বলেন, আহত শাহীন আলী নিজ এলাকায় মেধাবী শিক্ষার্থী হিসাবে পরিচিত। সে গরীব ঘরের সন্তান হয়েও এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। শাহীনের বাবা জালাল উদ্দীন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। বাবার চিকিৎসা খরচ চালাতে জমি বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার। সেই জমি জোরপূর্বক দখল করে শাহীন ও তার মা কে কুপিয়ে জখম করে সাদেক আলী ও তার দলবল।
বিষয়টি সম্পর্কে চারঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দীকি বলেন, মিছিল, বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধের খবর জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ন্যায় বিার নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী চলে গেছেন। তবে আসামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
আরবিসি/০২ জুন/ রোজি